আনুগত্য এবং কর্তৃপক্ষের প্রতি সম্মানবোধ (Obediance and respect for authority)

Authority

আনুগত্য এবং কর্তৃপক্ষের প্রতি সম্মানবোধ (Obediance and respect for authority)

সমাজে প্রায়ই দেখা যায়, কিছু অসাধু ব্যক্তি শুধুমাত্র ঐ সকল কোরআনের আয়াত এবং হাদীস সমূহের কথা উল্লেখ করে যা কেবল নিজের পক্ষে যায়। এই সকল স্বার্থপর লোকেরা ধর্মকে নিজের সম্পত্তি বানিয়ে ধর্মের নামে ব্যবসা করে থাকে। সামষ্টিক স্বার্থকে উপেক্ষা করে তারা কেবল নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। এরা আল্লাহ্‌ ও রাসুলের কথা বলে নিজেকেই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মনে করে বসে। সমাজে একসাথে চলতে গেলে যে সমাজের দায়িত্বপুর্ণ আসনগুলোতে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের দিকনির্দেশনাও মেনে চলতে হয় সে বিষয়ে তারা সম্পুর্ণ উদাসীন থাকে এবং অন্যদেরকেও উস্কানি দেয় নিয়ম ভাঙার। কোরআনেও এই বিষয়ে একটি (৪:৪৯) আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে।

أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يُزَكُّونَ أَنْفُسَهُمْ بَلِ اللَّهُ يُزَكِّي مَنْ يَشَاءُ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلًا (49)

অর্থঃ হে ঈমানদার মানুষেরা তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, আনুগত্য কর (তাঁর) রাসুলের, এবং সেসব লোকদের যারা তোমাদের মাঝে দায়িত্বপ্রাপ্ত, অতপর কোন ব্যাপারে যদি তোমরা একে অপরের সাথে মতোবিরোধ করো, তাহলে সে বিষয়টি (ফয়সালার জন্যে) আল্লাহ্‌ তায়ালা ও তাঁর রাসুলের জন্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাও…

…Obey Allah and His Messenger and those in position of authority among you…

সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের যেমন মেনে চলা উচিত তেমনি যে কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও উর্ধতন (বড়) কর্মকর্তাদের মেনে চলা উচিত এবং প্রতিষ্ঠানের সামষ্টিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য সামষ্টিক লক্ষ্যের প্রতি আনুগত্য ও এবং কর্তৃপক্ষের প্রতি সম্মানবোধ থাকা উচিত। প্রতিষ্ঠানের সামষ্টিক লক্ষ্যের প্রতি আনুগত্য না থাকলে ব্যক্তি স্বার্থই প্রাধান্য পায়। ফলে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলে। আবার, প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের প্রতি সম্মানবোধ না থাকলে চেইন-অফ-কমান্ড ভেঙে পরে। ফলে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পরে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি প্রাতিষ্ঠানিক চেইন-অফ-কমান্ডের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published.