আল্লাহ তাআলার সার্বভৌম ক্ষমতা
أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنْتُمْ مُدْهِنُونَ (81) وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ (82) فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ (83) وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ (84) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ (85) فَلَوْلَا إِنْ كُنْتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ (86) تَرْجِعُونَهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ (87)
তবে কি তোমরা এই বাণীকে (কুরআনকে) তুচ্ছ জ্ঞান করছ? আর তোমরা রিজিক বানিয়ে নিয়েছ যে, তোমরা মিথ্যা আরোপ করবে। সুতরাং কেন নয়- যখন রুহ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়? আর তোমরা তখন কেবল চেয়ে থাক। আর তোমাদের চাইতে আমি তার খুব কাছে; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না। তোমাদের যদি প্রতিফল দেয়া না হয়, তাহলে তোমরা কেন ফিরিয়ে আনছ না রুহকে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও? (ওয়াকিয়া, ৫৬ : ৮১-৮৭)
এই আয়াতগুলি ব্যাখ্যা ব্যতীতই বোধগম্য। কুরআন মাজিদ মানব জাতিকে এই ওপেন চ্যালেঞ্জ প্রদান করে যে, কোনো মানুষই আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার পথে অন্তরায় হতে পারে না। এক আল্লাহ তাআলাই মানব জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করেন। কোনো মানুষই কখনো সাহায্যপ্রাপ্ত হয় নি কিংবা সেই ব্যক্তিকে কখনো সাহায্য করতে পারে নি যার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। প্রায়ই এমন ঘটে থাকে যে, ডাক্তাররা কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা এমন রোগে মৃত্যবরণ করে, যে রোগে তারা বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
এই আয়াতগুলো সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআলার সার্বভৌম আদেশ ও ক্ষমতার কথা বলে। চলুন আমরা তার আদেশের কাছে মাথা নত করি এবং আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ও চলনে-বলনে কুরআন মাজিদকে আসমানি বার্তা ও নির্দেশনা হিসেবে গ্রহণ করি।
বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব আর তিনি সবকিছুর ওপর শক্তিমান। যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিকে থেকে উত্তম? আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (মুলক, ৬৭ : ০১-০২)
تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (1) الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ (2)
(লক্ষ্য কর,) নিশ্চয় আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টি এবং রাত ও দিনের বিবর্তনের মধ্যে রয়েছে বিবেকসম্পন্নদের জন্য বহু নির্দশন। যারা আল্লাহকে স্মরণ করে দাঁড়িয়ে, বসে ও কাত হয়ে এবং আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে। (বলে) ‘হে আমাদের রব, তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি কর নি। তুমি পবিত্র মহান। সুতরাং তুমি আমাদেরকে আগুনের আজাব থেকে রক্ষা কর’।