হিজরের অধিবাসী

Hijr1

হিজরের অধিবাসী

وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا قَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ قَدْ جَاءَتْكُمْ بَيِّنَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ هَذِهِ نَاقَةُ اللَّهِ لَكُمْ آَيَةً فَذَرُوهَا تَأْكُلْ فِي أَرْضِ اللَّهِ وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ (73)

আর ছামুদের নিকট (আমি প্রেরণ করেছি) তাদের ভাই সালিহকে। সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের কোনো (সত্য) ইলাহ নেই। (আরাফ, ০৭ : ৭৩)

قَالَ الَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا بِالَّذِي آَمَنْتُمْ بِهِ كَافِرُونَ (76) فَعَقَرُوا النَّاقَةَ وَعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ وَقَالُوا يَا صَالِحُ ائْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ (77) فَأَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَةُ فَأَصْبَحُوا فِي دَارِهِمْ جَاثِمِينَ (78)

যারা অহংকার করেছিল তারা বলল, নিশ্চয় তোমরা যার প্রতি ঈমান এনেছ, আমরা তাকে অস্বীকার করি। ফলে ভূমিকম্প তাদেরকে পাকড়াও করল। তাই সকালে তারা তাদের গৃহে উপুড় হয়ে মরে রইল। (আরাফ, ০৭ : ৭৬-৭৮)

وَلَقَدْ كَذَّبَ أَصْحَابُ الْحِجْرِ الْمُرْسَلِينَ (80) وَآَتَيْنَاهُمْ آَيَاتِنَا فَكَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ (81) وَكَانُوا يَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا آَمِنِينَ (82) فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ مُصْبِحِينَ (83) فَمَا أَغْنَى عَنْهُمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ (84)

আর অবশ্যই হিজরের অধিবাসীরা (সালেহের কওম) রাসুলদেরকে অস্বীকার করেছে। আর আমি তাদেরকে আমার আয়াতসমূহ দিয়েছিলাম, তবে তারা তা থেকে বিমখু হয়েছে। আর তারা পাহাড় কেটে বাড়ি বানাত, নিরাপদ ভেবে। কিন্তু‘ অবশেষে ভোরের প্রাক্কালে এক বিকট আওয়াজ তাদেরকে পাকড়াও করল। আর তারা যা উপাজর্ন করত তা তাদের কোনো কাজে আসল না। (হিজর, ১৫ : ৮০-৮৪)

ঐতিহাসিকরা বলেন, ‘হিজর’ ছিল ছামুদ সম্প্রদায়ের লোকদের প্রধান শহর। ধারণা করা হয়, তারা ছিল হযরত নুহ (আঃ)এর পঞ্চম অধঃস্তন বংশধর, যার ধ্বংসাবশেষ সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে আধুনিক শহর ‘আল-উলা’র সন্নিকটে, যা সৌদি আরবের মদিনা থেকে তাবুক যাওয়ার পথে অবস্থিত। অষ্টম শতাব্দীর মহান পরিব্রাজক ইবনে বতুতা এই এলাকাটি ভ্রমণ করেন এবং লিখেন, ‘আমি লাল পর্বতসমূহে খোদাই করা ছামুদ সম্প্রদায়ের লোকদের ভবনগুলি দেখেছি। সেগুলির চিত্রকর্মগুলি এতই উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল যেন সেগুলি অতি সম্প্রতি সেখানে স্থাপন করা হয়েছে। এবং সেখানকার অধিবাসীদের জরাজীর্ণ অস্থিসমূহ এখনও তাদের ধ্বংসাবশেষে বিদ্যমান। এটি কুরআন মাজিদের একটি মুজিজা, যে কেউ এটির সত্যতা আজও স্বচক্ষে আবলোকন করতে পারে।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *