সকল বৃক্ষের বিপরীত লিঙ্গের অস্তিত্ব

Male Female

সকল বৃক্ষের বিপরীত লিঙ্গের অস্তিত্ব

وَهُوَ الَّذِي مَدَّ الْأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْهَارًا وَمِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآَيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ (3)

আর তিনিই (আল্লাহ) যিনি ভূমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন ও তাতে পাহাড়-পর্বত ও প্রবাহমান নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক প্রকার ফলের মধ্যে দু-দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে যারা চিন্তা করে। (রা’দ, ১৩ : ০৩)

الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ مَهْدًا وَسَلَكَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِنْ نَبَاتٍ شَتَّى (53)

তিনি পৃথিবীকে তোমাদের জন্য শয্যা করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন প্রকার যুগল উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি। (প্রত্যেকট অপরটি থেকে স্বতন্ত্র ) (ত্বাহা, ২০ : ৫৩)

خَلَقَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا وَأَلْقَى فِي الْأَرْضِ رَوَاسِيَ أَنْ تَمِيدَ بِكُمْ وَبَثَّ فِيهَا مِنْ كُلِّ دَابَّةٍ وَأَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَنْبَتْنَا فِيهَا مِنْ كُلِّ زَوْجٍ كَرِيمٍ (10)

তিনি কোনো খুঁটি ব্যতীত আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছেন যা তোমরা দেখ। তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা, যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে ঢলে না পড়ে এবং এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সর্ব  প্রকার জন্তু। আমি আকাশ থেকে পানি বষর্ণ করেছি। অতঃপর তাতে উদ্গত করেছি সর্ব প্রকার কল্যাণকর প্রজাতির (উদ্ভিদের) জোড়াসমূহ। (লুকমান, ৩১ : ১০)

سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ (36)

পবিত্র ও মহান সে সত্তা যিনি সকল জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, জমিন যা উৎপন্ন করেছে তা থেকে, মানুষের নিজেদের মধ্য থেকে এবং সেসব থেকে যা তারা জানে না। (ইয়াসিন, ৩৬ : ৩৬)

এসব আয়াত যা অবতীর্ণ হয়েছে চৌদ্দশ বছরেরও অধিককাল পূর্বে, উদ্ভিদরাজিতে লিঙ্গের উপস্থিতি পরিষ্কার ভাষায় ঘোষণা করে। উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা তা আবিষ্কার করেছেন ১০০ বছর পূর্বে। মুহাম্মদ (সাঃ ) কোনো উদ্ভিদবিজ্ঞানী ছিলেন না। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তাআলাই মুহাম্মদ (সাঃ ) এর ওপর এ তথ্য অবতীর্ণ করেছিলেন। অতএব সেসব লোক যারা বুদ্ধিমত্তা ও প্রজ্ঞার গুণে বিভূষিত তারা এসব বিষয়ের ওপর চিন্তাভাবনা করে কুরআন মাজিদকে মানব জাতির জন্যে আসমানি নির্দেশনা হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *