লিঙ্গ নির্ধারণে পুরুষের ভূমিকা
وَأَنَّهُ خَلَقَ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنْثَى (45) مِنْ نُطْفَةٍ إِذَا تُمْنَى (46)
আর তিনিই (আল্লাহ) সৃষ্টি করেন- পুরুষ ও নারী। শুক্রবিন্দু থেকে যখন তা নিক্ষিপ্ত হয়। (নাজম, ৫৩ : ৪৫-৪৬)
فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنْثَى (39) أَلَيْسَ ذَلِكَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يُحْيِيَ الْمَوْتَى (40)
অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তা থেকে সৃষ্টি করেন উভয় লিঙ্গ, পুরুষ ও নারী। তিনি (আল্লাহ) কি মৃতদের জীবিত করতে সক্ষম নন? (কিয়ামাহ, ৭৫ : ৩৯-৪০)
এই আয়াতগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে যে, নবজাত শিশুর লিঙ্গ নির্ধারিত হয় পুরুষের মাধ্যমে। এটি সাধারণ জ্ঞাত বিষয় যে, শুক্রবিন্দু হল সেই তরল পদার্থ যা যৌন ক্রিয়ার সময় পুরুষ থেকে দ্রুতবেগে নির্গত হয়। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে এমন প্রকৃতির বীর্যপাত হয় না। পুরুষের শুক্রাণু X কিংবা Y ক্রোমোজম বহন করে। পক্ষান্তরে মহিলাদের ডিম্বাণু দু’টি অভিন্ন XX ক্রোমোজম বহন করে। যদি পুরুষের শুক্রাণুর X ক্রোমোজমের সঙ্গেমহিলা X ক্রোমোজমের মিলন ঘটে তবে তা একজোড়া ‘XX’ ক্রোমোজম গঠন করে, যা পরিণতিতে একটি মেয়ে শিশুর আকৃতি তৈরি করে। পক্ষান্তরে যদি পুরুষের শুক্রাণুর Y ক্রোমোজমের সঙ্গে মহিলার ডিম্বানুর X ক্রোমোজমের মিলন ঘটে তবে তা একজোড়া XY ক্রোমোজমের আকৃতি তৈরি করে। অবশেষে যা একটি পুরুষ শিশুর আকৃতি তৈরি কর। অতএব নবজাত শিশুর লিঙ্গ সর্বদা পুরুষের শুক্রাণু দ্বারা নির্ধারিত হয়। কুরআন মাজিদ এই বিষয়টিকে সবেগে নির্গত পানি (Ejaculation) কথার দ্বারা ব্যক্ত করেছে, যা কেবল পুরুষের ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে।