মেরু অঞ্চলে দিনের দৈর্ঘ্য
حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَطْلِعَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَطْلُعُ عَلَى قَوْمٍ لَمْ نَجْعَلْ لَهُمْ مِنْ دُونِهَا سِتْرًا (90)
অবশেষে যখন সূর্যোদয়ের স্থানে এসে পৌঁছল তখন সে দেখতে পেল, তা এমন এক জাতির ওপর উদিত হচ্ছে যাদের জন্য আমি সূর্যের বিপরীতে কোনো আড়ালের ব্যবস্থা করি নি। (কাহফ, ১৮ : ৯০)
এই আয়াত এমন একজন রাজার বিজয় অভিযানের বর্ণনা দেয় যাকে কুরআন মাজিদ ‘যুল-কারনাইন’ বলে অভিহিত করেছে। এই আয়াত বলে, তিনি এমন এক স্থানে গমন করেন যেখানে তিনি সূর্যকে উদিত হওয়ার
অবস্থায় দেখতে পান এবং সেই স্থানের লোকদের সূর্যের বিপরীতে কোনো আড়ালের ব্যবস্থা ছিল না। আমরা এখন জানতে পারি, এটি হল মেরু অঞ্চলের সূর্যের অবস্থা যেখানে তা ছয় মাসের জন্য অস্ত যায় না।
অধিকন্তু, সূর্য সর্বদা নিন্মে উদিত হওয়ার অবস্থায় থাকে, যেমনটি কুরআন মাজিদে বর্ণিত হয়েছে। না মুহাম্মদ (সাঃ ), আর না কোনো আরবি ব্যক্তির এই সূর্যোদয়ের অবস্থা সম্পর্কে সামান্যতম ধারণা
ছিল। আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কে, কুরআন মাজিদে এই তথ্য সন্নিবেশিত করতে পারেন?