চন্দ্র ও সূর্যের ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতি
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوا عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللَّهُ ذَلِكَ إِلَّا بِالْحَقِّ يُفَصِّلُ الْآَيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ (5)
তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি সূর্যকে বানিয়েছেন একটি জ্যোতিষ্ক এবং চন্দ্রকে আলোকরূপে। আর নির্ধারণ করেছেন তার জন্য মনজিলসমূহ। যাতে তোমরা জানতে পার বছরের গণনা ও (সময়ের) হিসাব। আল্লাহ ই তা সৃষ্টি করেন যথার্থভাবে। তিনি (এভাবে) বিবৃত করেন (তাঁর) নিদর্শনসমূহ বিস্তারিতভাবে, সেসব লোকের জন্যে যারা অনুধাবন করে। (ইউনূস, ১০ : ০৫)
وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا (1) وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا (2)
শপথ, সূর্যের এবং তার কিরণের। শপথ, চন্দ্রের যখন তাকে প্রতিফলিত করে। (শামস, ৯১ : ১-২)
লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হল, বাইবেল চন্দ্র ও সূর্যকে সব সময় সমজাতীয় শব্দে উল্লেখ করেছে। যদি মুহাম্মদ (সাঃ) কুরআন মাজিদ বাইবেল থেকে নকল করতেন, যেমনটি কিছু খৃস্টান অপবাদ দিয়ে থাকে, তিনিও
সুর্য ও চন্দ্রের জন্য একই ধরনের শব্দ ব্যবহার করতেন। যাহোক, কুরআন মাজিদ এই সূর্য ও চন্দ্রের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করেছে। একটিকে বলা হয়েছে, ‘নূর’ (আলো), যা চন্দ্রকে নির্দেশ করে। অন্যটিকে বলা হয়েছে ‘দিয়া’ (জ্যোতিষ্ক), যা নির্দেশ করে সূর্যকে। এভাবে কুরআন মাজিদ এ কথার স্বীকৃতি দিয়েছে যে, সূর্য হল আলোর উৎস এবং চন্দ্র কেবল তার আলোকেই প্রতিফলিত করে। বিজ্ঞানীরা এই সত্যকে আবিষ্কার
করেছে মহাকাশ বিজ্ঞানের জ্ঞান-ভান্ডারের উৎকর্ষ সাধনের পর। অথচ কুরআন মাজিদ এই বর্ণনা প্রদান করেছে বহু শতাব্দী পূর্বে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি ঐ আমলে মহাকাশের চাঁদ ও সুর্যের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।