‘ইরাম’ শহর
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ (6) إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ (7) الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ (8)
তুমি কি দেখনি তোমার রব কিরূপ আচরণ করেছেন আদ জাতির সঙ্গে? ইরাম (গোত্রের) সঙ্গে, যারা ছিল সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী? যাদের মত সৃষ্টির করা হয় নি কোনো দেশে? (ফজর, ৮৯ : ০৬- ০৮)
কুরআন মাজিদের ভাষ্যকারগণ বলেন, ‘আদ ইরাম’ হল আদ জাতির প্রথমত দিককার একটি গোত্র, যারা ‘আদে উলা’ বা পূর্ববর্তী আদ নামে পরিচিত। পূর্বেকার আরব ঐতিহাসিকদের কাছে তারা ছিল সম্পূর্ণ অজ্ঞাত। সর্বপ্রথম কুরআন মাজিদই তাদেরকে উল্লেখ করেছে, এভাবে- ‘আদ জাতি, যারা বসবাস করে ইরাম শহরে।’
National Geography পত্রিকার ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর সংখ্যায় একটি প্রাচীন শহর ‘মলবা’, যা ১৯৭৩ সনে সিরিয়ায় খননকার্যের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছে, তার ব্যাপারে একটি মজাদার বিবরণ দিয়েছে। শহরটি প্রায় তেতাল্লিশ শত বছরের প্রাচীন। ম্যাগাজিনটি আরও লিখেছে, শহরটিতে একটি লাইব্রেরি ছিল। তাতে পাশ্ববর্তী শহরগুলির একটি তালিকা ছিল, যাদের সঙ্গে এলবার অধিবাসীরা বাণিজ্য করত। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হল, সেই শহরগুলির তালিকায় ‘ইরাম’ নামক একটি শহরের নামও লিপিবদ্ধ ছিল। মুহাম্মদ (সা: ) কিভাবে ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে এমন একটি শহর সম্পর্কে জানতে পারেন যা ছিল তেতাল্লিশ শত বছরের পুরনো এবং যা অতি সম্প্রতি ১৯৭৩ সালে ভূতত্ত্ববিদদের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছে? আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কে তাঁকে এই জ্ঞান দান করেছেন?