আদ সম্প্রদায়ের অধিবাসী
وَاذْكُرْ أَخَا عَادٍ إِذْ أَنْذَرَ قَوْمَهُ بِالْأَحْقَافِ وَقَدْ خَلَتِ النُّذُرُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا اللَّهَ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ (21) قَالُوا أَجِئْتَنَا لِتَأْفِكَنَا عَنْ آَلِهَتِنَا فَأْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ (22)
فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا بَلْ هُوَ مَا اسْتَعْجَلْتُمْ بِهِ رِيحٌ فِيهَا عَذَابٌ أَلِيمٌ (24) تُدَمِّرُ كُلَّ شَيْءٍ بِأَمْرِ رَبِّهَا فَأَصْبَحُوا لَا يُرَى إِلَّا مَسَاكِنُهُمْ كَذَلِكَ نَجْزِي الْقَوْمَ الْمُجْرِمِينَ (25)
আর স্মরণ কর আদ সম্প্রদায়ের ভাইয়ের (হুদের) কথা, যখন সে আহকাফের স্বীয় সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিল। আর এমন সতর্ককারী তার পূর্বে এবং পরেও গত হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারও ইবাদত করো না। নিশ্চয় আমি তোমাদের ওপর এক ভয়াবহ দিনের আজাবের আশংকা করছি।’ তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদেরকে আমাদের উপাস্যদের থেকে নিবৃত করতে আমাদের নিকট এসেছ? তুমি যদি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও তাহলে আমাদেরকে যার ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো।’ অতঃপর যখন তারা তাদের উপত্যকার দিকে মেঘমালা দেখল তখন তারা বলল, ‘এ মেঘমালা আমাদেরকে বৃষ্টি দিবে।’ (হুদ
(আঃ) বলল, বরং এটি তা-ই যা তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে। এ এক ঝড়, যাতে যন্ত্রণাদায়ক আজাব রয়েছে। ফলে তারা এমন (ধ্বংস) হয়ে গেল যে, তাদের আবাসস্থল ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এভাবেই আমি অপরাধী কওমকে প্রতিফল দিয়ে থাকি। (আহকাফ, ৪৬ : ২১-২২, ২৪-২৫)
কুরআন মাজিদের ভাষ্যকাররা বলেন, ‘আদ সম্প্রদায়ের একটি অংশ প্রথম আজাব ও ধ্বংস থেকে বেঁচে গিয়েছিল এবং অন্যান্য শহরে বসতি স্থাপন করেছিল। তাদেরকে ‘আদে উখরা’ বা পরবর্তী আদ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। তারাও তাদের নবীদের বিরুদ্ধাচারণ করেছিল এবং পূর্ববর্তী আদ জাতির ন্যায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।
একটি আমেরিকান মুসলিম সাময়িকী ‘The message’এর ১৯৯২ সালের মার্চ সংখ্যায় রিপোর্ট করা হয়, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ভূতত্ত্ববিশারদদের একটি টিম সম্প্রতি আদ সম্প্রদায়ের শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছে। যারা ছিল ছামুদ সম্প্রদায়ের সমসাময়িক। কুরআন মাজিদ চব্বিশটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এই সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করেছে। বিশ্বের সকল ধর্মগ্রন্থের মধ্যে কেবল কুরআন মাজিদই এই শহর
ও তার অধিবাসী সম্পর্কে কথা বলেছে। বাইবেলের পুরাতন ও নতুন সমাচার এদের সম্পর্কে নিরব। না মুহাম্মদ (সাঃ ), আর না যারা তার চারপাশে বসবাস করত তাদের কেউ কখনো মরুভূমির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সেই দূরবর্তী এলাকা সফর করেছিল। এমনকি যদি কেউ এই অঞ্চলটি সফর করেও থাকে, তবু সে এই শহর সম্পর্কে জানতে পারত না। কেননা, তা গভীর বালির নিচে চাপা পড়ে ছিল।