অপচয় বন্ধ করা (Elimination of Wastage)
অপচয়কারী শয়তানের ভাই। অপচয়কারী ব্যক্তিকে আল্লাহ্ পছন্দ করেননা। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেও অপচয় করাকে অপছন্দ করা হয়। যে কোন প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করার অনেকগুলো কৌশল থাকে। তার মধ্যে অপচয় বন্ধ করা একটি। আবার, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে উৎপাদনের সময় যে সকল বাইপ্রোডাক্ট বা বর্জ উৎপাদিত হয়, ঐ সব বাইপ্রোডাক্ট বা বর্জ ভিন্ন আর একটি বস্তু উৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত বস্তু পুনরায় ব্যবহার উপযোগী হয়। যেমন- গোবর থেকে সার উৎপাদন, ফেলে দেয়া সুতা ব্যবহার করে জিন্সের কাপড় উৎপাদন ইত্যাদি। এই পদ্ধতিকে রিসাইক্লিং পদ্ধতি বলে। এ পদ্ধতিতেও অপচয় বন্ধ করা যায়। কোরআনেও (১৭:২৬) অপচয় বন্ধ করার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
وَآَتِ ذَا الْقُرْبَى حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيرًا (26)
অর্থঃ আত্মীয় স্বজনকে তাদের যথার্থ পাওনা আদায় করে দেবে, অভাবগ্রস্ত ও মোসাফেরদেরও তাদের হক আদায় করে দেবে, কখনও অপব্যয় করো না।
And render to the kindred their due rights, as (also) to those in want, and to the wayfarer. But waste not (your wealth, time, health, talents, opportunities etc) in the manner of a spendthrift.
অন্য একটি (০৭:৩১) আয়াতেও এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
يَا بَنِي آَدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ (31)
অর্থঃ হে আদম সন্তানেরা, তোমরা প্রতিটি এবাদতের সময়ই তোমাদের সৌন্দর্য (মণ্ডিত পোশাক) গ্রহণ কর, তোমরা খাও এবং পান কর, তবে কোন অবস্থাতেই অপচয় করো না, আল্লাহ্ তায়ালা কখনও অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।
O Children of Adam! wear your beautiful apparel at every time and place of prayer: eat and drink: But waste not by excess , for Allah loveth not the wasters.
উপরের উভয় আয়াতই আমাদের অপচয় করতে নিষেধ করেছে। ধন সম্পদ, সময়, স্বাস্থ্য, মেধা, সুযোগ এগুলো সবই আমাদের জন্যে আল্লাহর নেয়ামত। আমাদের এগুলো সথিকভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং কখনও অপচয় করা যাবেনা।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে অপচয়ের ক্ষতিকর দিকগুলোর উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।