অতি পারমানবিক কণিকার উপস্থিতি
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَا تَأْتِينَا السَّاعَةُ قُلْ بَلَى وَرَبِّي لَتَأْتِيَنَّكُمْ عَالِمِ الْغَيْبِ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَلَا أَصْغَرُ مِنْ ذَلِكَ وَلَا أَكْبَرُ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُبِينٍ (3)
আর কাফিররা বলে, ‘কিয়ামত আমাদের কাছে আসবে না’। বলুন, ‘অবশ্যই আমার রবের কসম! যিনি অদৃশ্য সম্পকের্ অবগত, তা তোমাদের কাছে আসবেই। আসমানসমূহে ও জমীনে অনু পরিমাণ কিংবা তার চেয়ে ছোট অথবা বড় কিছুই তার অগোচরে নেই। বরং সব কিছু সুস্পষ্ট কিতাবে (লিপিবদ্ধ) রয়েছে। (সাবা, ৩৪ : ০৩)
এই আয়াতে যে আরবি শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে তা হল, ‘যাররাহ’ । আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী ও মারমাডিউক পিকথাল ইংরেজিতে ‘যাররাহ’ শব্দের অনুবাদ করেছেন পরমাণু শব্দ দ্বারা। যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন ‘যাররাহ’ পরমাণু ছিল মানুষের জানা মতে সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকা। এই আয়াতে কুরআন মাজিদ ‘যাররাহ’র চেয়েও ক্ষুদ্রতর কণিকার উপস্থিতির কথা বর্ণনা করে।
পদার্থ বিজ্ঞানের সাপ্রতিক গবেষণা দেখিয়েছে, পরমাণুকে আরও ক্ষুদ্রতর এককে বিভাজিত করা যেতে পারে। কুরআন মাজিদ এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়েছে পদার্থ বিজ্ঞানীরা তা আবিষ্কার করার চৌদ্দশ’ বছরেরও অধিককাল পূর্বে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি ঐ আমলে অনু-পরমানুর উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।