হজ্জের উদ্দেশ্যে সফর

Hajj

হজ্জের উদ্দেশ্যে সফর

وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ (27)

আর (হে ইবরাহিম,) মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর দূরান্তের পথ পাড়ি দিয়ে। (হজ্জ, ২২ : ২৭)

এখানে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার অবতারণা করা প্রাসঙ্গিক মনে করছি। প্রথমত, আল্লাহ তাআলা হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে হজ্জের এই ঘোষণা দিতে বলেন যখন তিনি কাবা শরিফের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন- আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে। দ্বিতীয়ত, তিনি কাবা শরিফ নির্মাণ করেন একটি নিতান্ত ঊষর ও জনমানবহীন স্থানে। আমাদের আরও স্মর্তব্য যে, যখন তিনি কাবা শরিফ নির্মাণ করেন তখন মক্কা শরিফে কোনো শহর ছিল না। তৃতীয়ত, কাবা শরিফ এমন এক অঞ্চলে নির্মিত হয় যাতে কোনো

ধরনের সফর ও ভ্রমণের সুবিধাদি ছিল না। রাস্তা ও সরাইখানা তো দূরের কথা, বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে ভ্রমণকারীদের জন্যে কোথাও পানির ব্যবস্থা পর্যন্ত ছিল না। তথাপি কুরআন মাজিদ ভবিষ্যৎবাণী প্রদান করে যে, ভ্রমণকারীরা এই কষ্টকর ভ্রমণের ক্লান্তি সহ্য করবেন এবং দূর-দূরান্তের স্থান থেকে কাবা শরিফে এসে সমাগত হবেন। এটি একটি বাস্তব সত্য যে, এই ভবিষ্যৎবাণী বিগত চার হাজার বছর ধরে নিরন্তর বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ কাবা শরিফে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ থেকে হজ্জের সফরে আসে।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *