সূক্ষাতিসূক্ষ জীবনের অস্তিত্ব
وَالْأَنْعَامَ خَلَقَهَا لَكُمْ فِيهَا دِفْءٌ وَمَنَافِعُ وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ (5) وَلَكُمْ فِيهَا جَمَالٌ حِينَ تُرِيحُونَ وَحِينَ تَسْرَحُونَ (6) وَتَحْمِلُ أَثْقَالَكُمْ إِلَى بَلَدٍ لَمْ تَكُونُوا بَالِغِيهِ إِلَّا بِشِقِّ الْأَنْفُسِ إِنَّ رَبَّكُمْ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ (7) وَالْخَيْلَ وَالْبِغَالَ وَالْحَمِيرَ لِتَرْكَبُوهَا وَزِينَةً وَيَخْلُقُ مَا لَا تَعْلَمُونَ (8)
আর চতুষ্পদ জন্তুগুলো তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তাতে রয়েছে উষ্ণতার উপকরণ ও বিবিধ উপকার। আর তা থেকে তোমরা (গোস্ত) আহার কর। আর (তিনি সৃষ্টি করেছেন) ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা, তোমাদের আরোহন ও শোভার জন্য এবং তিনি সৃষ্টি করেন (অন্য) এমন কিছু যা তোমরা জান না। (নাহল,১৬ : ৫-৮)
سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ (36)
পবিত্র ও মহান সে সত্তা যিনি সকল জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, জমিন যা উৎপন ড়ব করেছে তা থেকে, মানুষের নিজেদের মধ্য থেকে এবং সেসব থেকে যা তারা জানে না। (ইয়াসিন, ৩৬ : ৩৬)
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় এমন আকারের জীবনের অস্তিত্ব নির্দেশ করে কুরআন অবতরণের প্রাক্কালে যা ছিল মানুষের অজানা। মাইক্রোসকোপ বা অনুবীক্ষণযন্ত্র আবিষ্কারের পর মানবচক্ষু নতুন আবিষ্কৃত জীবনের স্বরূপের রহস্য যেমন, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস অবলোকন করতে সক্ষম হয়েছে।
অথচ কুরআন মাজিদ তাদের অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করেছে মানুষ তাদের আবিষ্কার করার বহু পূর্বে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি ঐ আমলে মাইক্রোসকোপ বা অনুবীক্ষণিক জীবের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।