সুন্দরভাবে কথা বলা (Speak Nicely)
সুন্দরভাবে কথা বলা একটি বড় গুণ। সুন্দরভাবে বক্তব্য দিয়ে মানুষকে আকর্ষণ করা যায়। তবে সুন্দরভাবে কথা বলতে গেলে অনেকগুলো বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। শুদ্ধ উচ্চারণ, উপস্থিত বুদ্ধি থাকা, কথার মধ্যে আঞ্চলিকতা না আসা, বক্তব্য প্রাসঙ্গিক হওয়া, সময়ের সাথে সাথে কণ্ঠস্বরের উত্থান ও পতন, বক্তব্যে সহজ ও শ্রুতিমধুর শব্দ ব্যবহার করা যা শ্রোতাকে সহজভাবে বিষয়বস্তু বোঝাতে সাহায্য করে, কঠিন বিষয়কে সহজ করে বলা, বক্তব্যের বিষয়ে সুষ্পস্ট ধারণা থাকা, বক্তব্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের উদাহরণ ও সুত্র উল্লেখ করা, পোশাক এবং অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি। কোরাআনেও (০২:৮৩) আয়াতে মানুষকে সুন্দর ভাবে কথা বলতে বলা হয়েছে।
وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَا تَعْبُدُونَ إِلَّا اللَّهَ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَقُولُوا لِلنَّاسِ حُسْنًا وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآَتُوا الزَّكَاةَ ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ إِلَّا قَلِيلًا مِنْكُمْ وَأَنْتُمْ مُعْرِضُونَ (83)
অর্থঃ…মানুষদের সুন্দর কথা বলবে…
…And speak to people nicely.
ভাল কথা বলে মানুষকে আকর্ষণ করা যায়। কিন্তু উচ্চস্বরে কথার মাধ্যমে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটলে মানুষ দূরে সরে যায়। কোরআনে অন্য একটি জায়গায় রাসুল (সঃ) কে সুন্দর করে কথা বলতে বলা হয়েছে। কারণ, অন্যথায় শ্রোতারা দূরে চলে যাবে এবং তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। তবে এসব গুণ একদিনে গড়ে উঠে না। নিয়মিত চর্চা করলে ধীরে ধীরে এইসব গুণাবলীর উন্নতি ঘটতে থাকে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি সুন্দরভাবে কথা বলার উপকারিতার উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।