সমান সুযোগ (Equal Opportunity)
একটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি সদস্যের কর্মক্ষমতা প্রকাশের জন্যে সমান সুযোগ দেয়া উচিত। বড় ধরণের প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরণের মানুষ কাজ করে। তাদেরকে জাতি, গোত্র, ধর্ম, গায়ের রং, আর্থিক অবস্থা, উচ্চতা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের ভিত্তিতে আলাদা করা যায়। কিন্তু প্রত্যেকেরই কর্মক্ষমতা প্রকাশের জন্যে সমান সুযোগ পাওয়া উচিত। অনুন্নত দেশগুলিতে এবং ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেকসময় দেখা যায় রাজনৈকিত ক্ষমতা, ঘুষ লেনদেন, পারিবারিক পরিচিতি, আঞ্চলিকতা ইত্যাদির ভিত্তিতে গুরুত্বপুর্ণ পদ গুলোতে নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে সকলে সমান সুযোগ পায় না এবং বিশৃঙ্খলা তৈরী হয়। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকুরীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও প্রত্যেকের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়। ফলে সত্যিকারের মেধাবী ব্যক্তি নির্বাচিত হয়। পদোন্নতির ক্ষেত্রেও প্রত্যেকের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু অনেক সময় সমাজের ও দেশের দুর্বল ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে কোটার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অনুন্নত দেশগুলোতে দেখা যায়, এই কোটা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করেই অবৈধ ব্যবসা গড়ে উঠে। কোটাই তখন মুখ্য বা প্রধান বিষয় হয়ে উঠে আর মেধার মূল্যায়ন হয় গৌণ বা উপেক্ষিত। কোরআনেও সমান সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে (৪৯:১৩) আয়াত আছে,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ (13)
অর্থঃ হে মানব সম্প্রদায়, আমি তোমাদের একটি পুরুষ ও একটি নারী থেকে সৃষ্টি করেছি, তারপর আমি তোমাদের জন্যে জাতি ও গোত্র বানিয়েছি, যাতে করে তোমরা এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার…
O people, We created you from a single male and female couple and then divided you in nations and tribes so that you may recognize one another. Verily the most honorable among you in the sight of Allah is he who is most righteous of you.
উপরের আয়াত থেকে অনুধাবন করা যায় আল্লাহ্ তায়ালা বিভিন্ন জাতি ও গোত্র বানিয়েছেন কাউকে ছোট বা বড় করার জন্য নয়। বরং উদ্দেশ্য হল যেন একজন অন্যজনের সাথে পরিচিত হতে পারে। এবং এটা তখনই সম্ভব যখন সকলের জন্যে সমান সুযোগ তৈরী করা হবে। কিন্তু অনেক সময় সমাজের ও দেশের দুর্বল ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে কোটার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অনুন্নত দেশগুলোতে দেখা যায়, এই কোটা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করেই অবৈধ ব্যবসা গড়ে উঠে। কোটাই তখন মুখ্য বা প্রধান বিষয় হয়ে উঠে আর মেধার মূল্যায়ন হয় গৌণ বা উপেক্ষিত।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে সমান সুযোগের দানের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।