সঠিক সময় (Just in time)

Time

সঠিক সময় (Just in time)

কথায় বলে, সময় গেলে সাধন হবে না। আরও বলে, সময়ের এক ফোড় আসময়ের দশ ফোড়। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ না করলে পরবর্তীতে তা করা কঠিন হতে থাকে। এবং এক সময় তা অসম্ভব হয়ে যায়। এই জন্য সকল বড় বড় প্রতিষ্ঠানে সঠিক সময় উপস্থিত হতে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। অতিরিক্ত সঞ্চয় করার অভ্যাস অনেক মানুষের মধ্যেই পরিলক্ষিত। তারা শুধু জমিয়েই রাখে কিন্তু খরচ করে না। এতে তাদের খরচ করার মন ছোট হতে থাকে। সময় চলে যায়। পরিবার বড় হয়। খরচ বাড়ে। পরবরর্তীতে ইচ্ছা থাকলেও আর খরচ করার সুযোগ থাকে না। আর এজন্যই অস্বুস্থ হবার আগে স্বুস্থ থাকার গুরুত্ব অনুধাবন করা উচিত। দরিদ্র হবার আগে ধনী থাকার গুরুত্ব অনুধাবন করা উচিত। আর মৃত্যু আসার আগে জীবনের গুরুত্ব অনুধাবন করা উচিত। আর এ জন্যই জীবিত থাকা অবস্থায়, স্বুস্থ থাকা অবস্থায় এবং স্বচ্ছল থাকা অবস্থায়-অর্থ্যাৎ সঠিক সময়ে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা উচিত। অনেকেই সোনা রুপা, ধন সম্পদ এবং টাকা পয়সা জমিয়ে রাখে এবং সঠিক সময়ে ব্যয় করে না। কৃপণতার ফলে সারা জীবন শুধু সঞ্চয়ই করে কিন্তু খরচ করতে পারেনা। আর শেষ বয়সে সেই সব টাকাই খরচ হয় তার চিকিৎসায়। ফলে কোন উৎপাদনমূলক বা গঠনমূলক কাজে ঐ কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ ব্যবহৃত হয় না। কোরআনেও (৯:৩৪) সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করতে বলা হয়েছে পরোক্ষভাবে।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِنَّ كَثِيرًا مِنَ الْأَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَأْكُلُونَ أَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ (34)

অর্থঃ …যারা অন্যায়ভাবে সাধারণ মানুষের সম্পদ ভোগ করে, এরা (আল্লাহর বান্দাদের) আল্লাহর পথ থেকে মুখ ফিরিয়েও রাখে; (এদের মাঝে) যারা সোনা রুপা পুঙ্গীভূত করে রাখে এবং (কখনও) তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তুমি তাদের কঠিন পীড়াদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।

O ye who believe! Those who bury gold and silver and spend it not in the way of Allah, announce unto them a most grievous penalty.

উপরের আয়াতে সোনা রুপা অতিরিক্ত না জমিয়ে সঠিক সময়ে দান করতে বলা হয়েছে। আর সঠিক সময়ে আল্লাহর পথে ব্যয় না করলে সেই সোনা রুপা দিয়েই পরবর্তীতে তাদের কপালে, পার্শ্বে এবং পিঠে চিহ্ন একে দেয়া হবে। কত ভয়াবহ হবে সে আযাব। আর পার্থিব জীবনে ঠিক সময়ে কাজ শুরু না করতে পারলে সঠিক সময়ে সেই কাজ শেষ করা যায় না।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সময়ের গুরুত্বের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *