সংবেদনশীল স্নায়ু ও অন্ত্র
مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ فِيهَا أَنْهَارٌ مِنْ مَاءٍ غَيْرِ آَسِنٍ وَأَنْهَارٌ مِنْ لَبَنٍ لَمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهُ وَأَنْهَارٌ مِنْ خَمْرٍ لَذَّةٍ لِلشَّارِبِينَ وَأَنْهَارٌ مِنْ عَسَلٍ مُصَفًّى وَلَهُمْ فِيهَا مِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ وَمَغْفِرَةٌ مِنْ رَبِّهِمْ كَمَنْ هُوَ خَالِدٌ فِي النَّارِ وَسُقُوا مَاءً حَمِيمًا فَقَطَّعَ أَمْعَاءَهُمْ (15)
খোদাভীরুদের যে জান্নাতের ওয়াদা দেওয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হল, তাতে আছে নির্মল পানির নহরসমূহ, দুধের নহরসমূহ, যার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু শরাবের নহর এবং পরিশোধিত মধুর নহর। তাতে তাদের জন্য আছে রকমারী ফলমূল ও তাদের পালনকর্তার ক্ষমা। পরহেযগাররা কি তাদের সমান, যারা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে এবং যাদের পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি, অতঃপর তা তাদের নাড়ি-ভুঁড়ি (ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেবে) কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবে? (মুহাম্মদ,৪৭ : ১৫)
অধ্যাপক কিথ ম্যুর তার পাঠ্য বই The Developing Human- এ এই আয়াতের ব্যাখ্যা দেন এভাবে, ‘অন্ত্র বা নাড়ি-ভুঁড়ি কর্তনের মাধ্যমে আজাব দেওয়াও আমাদের জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। কেননা অন্ত্রের মধ্যে কোনো সংবেদন বা অনুভূতি নেই। অন্ত্রে উত্তাপগ্রাহী সড়বায়ু নেই। এভাবে তা কেবল ফুটন্ত পানিই নয় যা এই আয়াতে উল্লিখিত হয়েছে। এটাও জ্ঞাত বিষয় যে, যদি অন্ত্র ছিদ্র হয়ে যায়, তবে অন্ত্রস্থ পদার্থসমূহ উচ্চ
সংবেদনশীল গহবরের ভেতর দিয়ে নির্গত হবে। তখন গহবরে বিদ্যমান দৈহিক স্নায়ুগুলো উদ্দীপ্ত হবে। এটি মানব শরীরে তীব্রতর ব্যাথার অনুভূতি সঞ্চার করবে। এ কারণে কুরআন মাজিদ বলে, ফুটন্ত— পানি তাদের অন্ত্র বিদীর্ণ করে দিবে। একথা বলাবাহুল্য যে,নবী মুহাম্মদ (সাঃ ) তার সময়কালে মানব-শরীর সম্পর্কে এমন সুনির্দিষ্ট জ্ঞান অর্জনে সক্ষম ছিলেন না।