সংঘ (Association)
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে সে দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করে। এই দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরণের জীবনাচরণের ভিত্তিতে গড়ে উঠে বিভিন্ন দল, গ্রুপ বা সংঘ তৈরী হয়। এবং গড়ে উঠে বিভিন্ন ছোট ছোট সংঘ। যেমন- পাঠক শ্রেণীর মানুষদের নিয়ে গড়ে উঠে পাঠাগার। আড্ডাবাজ শ্রেণীর মানুষদের নিয়ে গড়ে উঠে বিভিন্ন ক্যাফে। খাবার প্রিয় মানুষদের নিয়ে গড়ে উঠে বিভিন্ন হোটেল বা রেস্তোরা ইত্যাদি। তবে অনেকসময় বিভিন্ন খারাপ সংঘও গড়ে উঠতে দেখা যায়। তবে যে সংঘের মানুষগুলো ভাল সেই সকল সংঘেই যোগদান করা উচিত। ভাল সংঘে যুক্ত থাকলে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান লাভ করা যায়। নিত্য নতুন বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞতা হয়। এবং বিভিন্ন দিবসে উক্ত সংঘ থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। তবে সংঘটি খারাপ হলে তা সংঘের সদস্যদের খারাপ পথে নিয়ে যায়। কোরআনেও ভাল ও মন্দ উভয় ধরণের সংঘের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। ভাল সংঘের সাথে যুক্ত হতে বলা হয়েছে এবং খারাপ সংঘ পরিহার করতে বলা হয়েছে। কোরআনের (০১:৬-৭) আয়াতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (6) صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ (7)
অর্থঃ ৬.তুমি আমাদের সরল ও অবিচল পথটি দেখিয়ে দাও- ৭.তাদের পথ যাদের উপর তুমি অনুগ্রহ করেছ, তাদের পথ নয় যাদের উপর অভিশাপ দেয়া হয়েছে এবং তাদের পথও নয় যারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে।
Show us the straight path. The path of those on whom you have bestowed your grace, not of those who evoked your anger and those who got astrey.
উপরের আয়াতে তিন ধরণের সংঘের কথা বলা হচ্ছে। প্রথমদল হল তারা যাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছন। দ্বিতীয়দল হল তারা যাদেরকে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন। এবং তৃতীয় ও শেষ দল হল তারা, যারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে। আমরা মুসলিমরা সবসময় প্রথমদলের অন্তর্ভূক্ত হতে চাই।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি বিভিন্ন ধরনের সংঘের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।