শত্রুদের ইসলাম গ্রহণ

Islam come

শত্রুদের ইসলাম গ্রহণ

قُلْ لِلْمُخَلَّفِينَ مِنَ الْأَعْرَابِ سَتُدْعَوْنَ إِلَى قَوْمٍ أُولِي بَأْسٍ شَدِيدٍ تُقَاتِلُونَهُمْ أَوْ يُسْلِمُونَ فَإِنْ تُطِيعُوا يُؤْتِكُمُ اللَّهُ أَجْرًا حَسَنًا وَإِنْ تَتَوَلَّوْا كَمَا تَوَلَّيْتُمْ مِنْ قَبْلُ يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا (16)

পেছনে পড়ে থাকা বেদুঈনদেরকে বল, এক কঠোর যোদ্ধা জাতির বিরুদ্ধে শীঘ্রই তোমাদেরকে ডাকা হবে। তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে অথবা তারা আত্মসমপর্ণ করবে। (ফাতাহ, ৪৮ : ১৬)

এই আয়াত দু’টি খুব সুস্পষ্ট ও বিশেষ ভবিষ্যৎবাণী প্রদান করে। প্রথমত, মরুর আরব বেদুঈনদেরকে ডাকা হবে শক্তিধর জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। দ্বিতীয়ত. যুদ্ধ চলতে থাকবে মুসলমানরা বিজয় লাভের পূর্ব পর্যন্ত। আরব উপদ্বীপকে ঘিরে যে দুটি শক্তিধর জাতি ছিল তারা হল, রোম সাম্রাজ্য ও পারস্য সাম্রাজ্য। ইতিহাস বলে, মুসলমানরা দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রাঃ) এর সময়কালে (১৩-২৩ হিজরি) পারস্য ও রোম সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বহু যুদ্ধ করে। পারস্য সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধ সংঘটিত হয় হিজরি ১৪ সালে কাদিসিয়া নামক স্থানে। এটি ছিল সেই স্থান যেখানে পারস্য বাহিনী পূর্ণ শক্তি নিয়ে মুসলিম বাহিনীর মুখোমুখি হয়। যুদ্ধ চারদিন স্থায়ী হয় এবং পারস্য বাহিনীর শোচনীয় পরাজয়ের মাধ্যমে তার সমাপ্তি ঘটে। হিজরি ১৫ সালে ইয়ারমুকের যুদ্ধ ছিল মুসলিম বাহিনী ও রোমান বাহিনীর মধ্যে চূড়ান্ত মুকাবেলা। মুসলমানরা রোমানদের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করে এবং রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াস কনস্টান্টিনোপলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এভাবে কুরআন মাজিদের উভয় ভবিষ্যৎবাণীই অতি অল্প সময়ের মধ্যে সত্যে পরিণত হয়।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *