মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি (Promotion on merit)

Merit

মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি (Promotion on merit)

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই পদোন্নতির ব্যবস্থা থাকে। পদোন্নতি মানুষের কর্ম ও সফলতার স্বীকৃতি। পদোন্নতির সাথে যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা ও আন্তঃপারষ্পরিক-সম্পর্কের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। পদোন্নতি পেলে মানুষের কাজের উৎসাহ ও উদ্দীপনা বেড়ে যায়। কর্মদক্ষতা বা পারফমেন্সের সাথে মেধা, যোগ্যতা ও আন্তঃপারষ্পরিক সম্পর্কের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। যে কোন প্রতিষ্ঠানে মানুষের সাথে মানুষের ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। যেমন- একই জেলার মানুষ হলে, একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানুষ হলে, একই লিঙ্গের মানুষ হলে, অর্থনৈতিক অবস্থা কাছাকাছি হলে, একই পদবীর মানুষ হলে, দৈহিক গঠন, উচ্চতা ও শক্তি কাছাকাছি হলে, খাদ্যাভ্যাস একই হলে, একই ধর্মের মানুষ হলে, জ্ঞানের দিক থেকে মানসিক উচ্চতা কাছাকাছি হলে, প্রশাসনিক ক্ষমতা কাছাকাছি হলে, একই এলাকায় একই যানবাহন ব্যবহারের কারণে, ছুটি জনিত কারণে একটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন মানুষের মধ্যে আন্তঃ পারষ্পরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। আর উপরের আন্তঃ পারষ্পরিক সম্পর্কের বিষয়গুলো নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করে। আর মেধার সাথে সম্পর্ক আছে শিক্ষাগত যোগ্যতার। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেতৃত্ব নির্বাচনে ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে মেধা, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। যে ব্যক্তি বেশি মেধাবী, অভিজ্ঞ এবং যার শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি, সেই ব্যক্তিই সফলভাবে তার উপর অর্পিত মিশন বা টার্গেট সম্পন্ন করতে পারে এবং অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে পারে। আর কোরআনের (৪৬:১৯) আয়াতেও একই কথা বলা হয়েছে।

وَلِكُلٍّ دَرَجَاتٌ مِمَّا عَمِلُوا وَلِيُوَفِّيَهُمْ أَعْمَالَهُمْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ (19)

অর্থঃ এ উভয় দলের প্রত্যকের জন্যেই তাদের নিজ নিজ কর্ম অনুযায়ী মান ও মর্যাদা রয়েছে, এভাবেই আল্লাহ তায়ালা তাদের কাজের যথার্থ বিনিময় দেবেন, আর তাদের উপর কোন রকম অবিচার করা হবে না।

And for all there will be ranks from what they do.

অর্থ্যাৎ, উপরের আয়াত থেকে দুটি বিষয় পরিলক্ষিত হয়। প্রথমত, কাজের দায়িত্বের গুরুত্ব অনুযায়ী মর্যাদা নির্ধারিত হবে। যত বড় দায়িত্ব তত বড় সম্মান। আর দ্বিতীয়ত, সফলভাবে দায়িত্ব পালনের মর্যাদা অনুযায়ী বিনিময় ও পুরষ্কার নির্ধারিত হবে। অর্থ্যাৎ, যেমন কর্ম তেমন ফল। যে দুনিয়াতে বেশি বেশি ভাল কাজ করবে আখিরাতে তাদের বেশি বেশি পুরষ্কার নির্ধারিত হবে। আর দুনিয়াতেও বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজের দায়িত্ব অনুযায়ী পদমর্যাদা নির্ধারিত হয়। আর পদমর্যাদা অনুযায়ী বেতন ও অন্যান্য পুরষ্কার ও সুযোগ সুবিধা নির্ধারিত হয়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি কোন প্রতিষ্ঠানের এমডি ছিলেন যিনি পদমর্যাদা ও বেতনের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *