মৃত্যু থেকে পলায়ন
أَ أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِكُكُمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنْتُمْ فِي بُرُوجٍ مُشَيَّدَةٍ وَإِنْ تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ يَقُولُوا هَذِهِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ وَإِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَقُولُوا هَذِهِ مِنْ عِنْدِكَ قُلْ كُلٌّ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ فَمَالِ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ حَدِيثًا (78)
তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবে যদিও তোমরা সুদৃঢ় দূর্গে অবস্থান কর। (নিসা, ০৪ : ৭৮)
قُلْ يَتَوَفَّاكُمْ مَلَكُ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ (11)
বল, ‘তোমাদেরকে মৃত্যু দিবে মৃত্যুর ফেরেশতা যাকে তোমাদের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। তারপর তোমাদের রবের নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে। (সাজদাহ, ৩২ : ১১)
একজন সাধারণ পাঠক এই আয়াতগুলোতে কোনো বিশেষ কিছু কিংবা স্বতন্ত্র বিষয় দেখতে নাও পেতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হল, এই আয়াতগুলো মানব সমাজের জন্য একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ। আয়াত এগুলিতে দুটি বিষয় ব্যক্ত হয়েছে। প্রথমত, মৃত্যু অনস্বীকার্য এবং কেউ তা থেকে পালাতে পারে না। দ্বিতীয়ত, মৃত্যুর দিনক্ষণ একটি গুপ্ত বিষয়, যা কেবল আল্লাহ তাআলাই জানেন এবং কেউ তা কখনো জানতে পারবে না। এমনকি একজন নাস্তিকও স্বীকার করে যে, আল্লাহর শক্তির কাছে সে অসহায় এবং নিজের মৃত্যুর সময়টাকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অধিকন্তু কোনো বিজ্ঞানীই এ পর্যন্ত কারো মৃত্যুর সময় সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করতে পারে নি। আমরা জীবন ও মৃত্যুর ওপর আল্লাহ তাআলার সার্বভৌম ক্ষমতার অসংখ্য প্রমাণ প্রত্যক্ষ করি।
এটি এমন একটি জ্ঞান, যা না এ পর্যন্ত কেউ অর্জন করতে পেরেছে, আর না অর্জন করতে পারে। কারো
মৃত্যুর নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে কেবল আল্লাহ তাআলাই অবগত আছেন।