মুহাজিরদের জন্য একটি উত্তম আবাসভূমি
وَالَّذِينَ هَاجَرُوا فِي اللَّهِ مِنْ بَعْدِ مَا ظُلِمُوا لَنُبَوِّئَنَّهُمْ فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَلَأَجْرُ الْآَخِرَةِ أَكْبَرُ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ (41)
আর যারা হিজরত করেছে আল্লাহর রাস্তায় অত্যাচারিত হওয়ার পর, আমি অবশ্যই তাদেরকে দুনিয়াতে উত্তম আবাস দান করব। আর আখিরাতের প্রতিদান তো বিশাল, যদি তারা (তা) জানত। (নাহল, ১৬ : ৪১)
ইসলামের সূচনালগ্নে কাফেরদের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে মক্কা থেকে মুসলমানদেরকে তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে হিজরত করতে হয়। প্রথমে তারা হিজরত করে আবিসিনিয়ায় (বর্তমান ইথিওপিয়ায়) এবং পরবর্তীতে মদিনায়। উভয় সময়েই হিজরতকালে তাদের সকল সহায়-সম্পত্তি মক্কায় ফেলে যায়। ইতিহাস বলে, যখন তারা আবিসিনিয়ায় হিজরত করে তখন আবিসিনিয়ার বাদশা তাদেরকে পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করে। পরবর্তীতে যখন তারা মদিনায় হিজরত করে, মদিনার মুসলমানরা তাদের জন্যে তাদের গৃহ ও অন্তরের দরজা উন্মোচিত করে দেয়। তারা কেবল তাদেরকে আশ্রয়ই প্রদান করে নি, বরং তাদের অর্ধেক সম্পত্তির অধিকারীও বানিয়ে দেয়। এমনকি যাদের দু’জন স্ত্রী ছিল একজনকে তালাক দিয়ে তার মুহাজির মুসলিম ভাইকে দিয়ে দেয়। আল্লাহ তাআলা এভাবে ইহজগতে তাদের উত্তম আবাস প্রদানের ভবিষ্যৎবাণীকে বাস্তবায়ন করেন।