ভূ-গর্ভস্থ তৈলসম্পদের গঠন

Oil

ভূ-গর্ভস্থ তৈলসম্পদের গঠন

سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى (1) الَّذِي خَلَقَ فَسَوَّى (2) وَالَّذِي قَدَّرَ فَهَدَى (3) وَالَّذِي أَخْرَجَ الْمَرْعَى (4) فَجَعَلَهُ غُثَاءً أَحْوَى (5)

আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের মহিমা বর্ণনা করুন। যিনি সৃষ্টি করেছেন (সবকিছু) এবং সুবিন্যস্ত করেছেন। এবং যিনি সপু রিমিত করেছেন ও পথ প্রদর্শন করেছেন। আর যিনি উৎপন্ন

করেছেন তণৃ -লতা। অতঃপর তাকে পরিণত করেছেন কাল ‘গুছা’। (আল-আলাক, ৮৭ : ০১-০৫)

অধিকাংশ অনুবাদের ক্ষেত্রে কুরআন মাজিদের শব্দ ‘গুছা’ এর জন্যে খড়কুটা বা আবর্জনা (ইংরেজিতে stubble) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যে ব্যক্তি ভূতত্ত্ববিদ্যা সম্পর্কে ধারণা রাখে, সে জানতে পারবে, এই

আয়াতটি তৈলজাত সম্পদ গঠনের রহস্যের বর্ণনা দেয়। ভুতত্ত্ববিদদের ধারণা মতে, পৃথিবীতে সর্বপ্রথম উদ্ভিদ ছিল সামুদ্রিক শৈবাল। যদি এ সকল তৃণশ্রেণী যেমনটি ছিল তেমনটি বিদ্যমান থাকত, তবে আবহাওয়ায় অক্সিজেনের পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যেত এবং কোনো কোনো   ক্ষেত্রে বায়ুমন্ডলে আগুন ধরে যেত। উল্লিখিত আয়াতটি এ কথারই ব্যাখ্যা প্রদান করে : ‘আপনার পালনকর্তা প্রত্যেক বস্তুকে তৈরি করেছেন সুপরিমিতভাবে।’ এভাবে শৈবালদাম পরবর্তীতে প্রবল ভূতাত্ত্বিক আলোড়নের মাধ্যমে মাটির নিচে চলে যায় এবং বিশেষ রাসায়নিক লঘুকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তেলে পরিণত হয়। বর্তমানে এটা জ্ঞাত বিষয় যে, তৈলজাত খনিজ পদার্থগুলি প্রধানত গঠিত হয়েছিল বিভিন্ন জাতের ব্যাকটেরিয়ার  আক্রমণে এ শৈবালের বিগলন ও পচনের মাধ্যমে, যা শিলাস্তরের ফাঁকে আটকে পড়ে। বর্তমানে একথাও আমাদের অজানা নয় যে, তৈলজাত পদার্থ কৃষ্ণ তরল পদার্থের রূপে ভূগর্ভস্থ নদীতে প্রবাহিত হয়। এই ভূ-অভ্যন্তরীন প্রবাহকে বর্ণনা করার জন্যে ‘বন্যার পানি’ ই সবচেয়ে পরিষ্কার অভিব্যক্তি। এ কারণে এই আয়াত তৈলনদীর প্রবাহেরও বর্ণনা দেয়, যাকে ভূতত্ত্ববিদ্যার পরিভাষায় ‘oil migration’বলা হয়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি ঐ আমলে মাটির নিচে তেল উৎপাদনের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *