বিভিন্ন দলে বিভক্ত করা
মুশরিকদের মাধ্যমে তাদের ধর্মকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করা আর মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। যারা নিজেদের দীনকে বিভক্ত করেছে এবং যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে (তাদেরও অন্তর্ভুক্ত হয়ো না)। প্রত্যেক দলই নিজেদের যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত। (রুম, ৩০ : ৩১-৩২)
مُنِيبِينَ إِلَيْهِ وَاتَّقُوهُ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُشْرِكِينَ (31) مِنَ الَّذِينَ فَرَّقُوا دِينَهُمْ وَكَانُوا شِيَعًا كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ (32) এই আয়াতে কুরআন মাজিদ তাদের অবস্থার বর্ণনা দেয় যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য উপাস্যকে শরীক করে। বলাবাহুল্য, বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক প্রভাবশালী ধর্ম হল খৃস্টান ধর্ম, যারা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহর সঙ্গে অন্য প্রভুকে শরীক করে। এই আয়াত বলে, এ সকল লোক তাদের ধর্মকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করবে এবং প্রত্যেক দলই নিজেদের বিশেষ বিশ্বাস নিয়ে আনন্দিত হবে। এই আয়াত যখন অবতীর্ণ হয় তখন মক্কায় কোনো খৃস্টান ছিল না। মক্কার অধিকাংশ লোকই ছিল মূর্তিপুজারী। এই আয়াতে কুরআন মাজিদ ভবিষ্যৎবাণী প্রদান করে যে, খৃস্টানরা অবশেষে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হবে। এখন যে কেউ এই ভবিষ্যৎবাণীর সত্যতা প্রত্যক্ষ করতে পারে। পুরো খৃস্টান বিশ্ব বর্তমানে বহুভাগে বিভক্ত, যেখানে একদল অন্যদলকে ভ্রান্ত বলে মনে করে। এভাবে পুরো ধর্মটি বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এদের প্রত্যেকেই নিজকে একটি ভিন্ন ধমের্র অনুসারী বলে মনে করে। এটি কুরআন মাজিদের অন্য একটি মুজিজা যে, কুরআন মাজিদ এই ভবিষ্যৎবাণীটি প্রদান করেছে শত শত বছর পূর্বে।