বিচার দিবসে মহাশূন্যের সবকিছুর পরিসমাপ্তি

fly

বিচার দিবসে মহাশূন্যের সবকিছুর পরিসমাপ্তি

وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَصَعِقَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ إِلَّا مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ (68)

আর (যখন) শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। আসমানসমূহে (মহাশূন্যে) যারা আছে এবং পৃথিবীতে যারা আছে সকলে বেহুঁশ হয়ে পড়বে, তবে আল্লাহ তাআলা যাদেরকে ইচ্ছে করেন। অতঃপর আবার যখন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে তখন তারা দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে। (যুমার, ৩৯ : ৬৮)

যখন কুরআন মাজিদ অবতীর্ণ হয়েছিল তখন কেউ জানত না, মানুষ একদিন আকাশে উড়বে, এমনকি মহাকাশে স্টেশন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা করবে। একজন নাস্তিক এ কথা বলে কুরআন মাজিদকে নিয়ে বিদ্রুপ করেছিল যে, যখন বিচার দিবস কায়েম হবে, পৃথিবীতে যারা আছে তারা মৃত্যু বরণ করবে; কিন্তু যারা মহাশূন্যে আছে তারা এই প্রলয় থেকে নিরাপদ থাকবে। কুরআন মাজিদ এই আয়াতে দু’টি বিষয়ের ভবিষ্যতবাণী করেছে। প্রথমত, এমন একদিন আসবে যেদিন মানুষ আকাশে উড়বে এবং মহাশূন্যে বসবাস করবে। দ্বিতীয়ত, যখন বিচার দিবস কায়েম হবে, যারা মহাশূন্যে থাকবে তারা মৃত্যু বরণ করবে, যারা পৃথিবী-পৃষ্ঠে থাকবে তাদের মতোই। আবারও আমরা কুরআন মাজিদের প্রতিটি শব্দে বিস্ময়কর জ্ঞানগভীরতা প্রত্যক্ষ করি।

قَدْ جَاءَكُمْ بَصَائِرُ مِنْ رَبِّكُمْ فَمَنْ أَبْصَرَ فَلِنَفْسِهِ وَمَنْ عَمِيَ فَعَلَيْهَا وَمَا أَنَا عَلَيْكُمْ بِحَفِيظٍ (104)

‘নিশ্চয় তোমাদের কাছে চাক্ষুষ নিদর্শনাবলি এসেছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে। অতএব যে দেখবে (সত্য) তবে তা হবে তার নিজের (কল্যাণের) জন্যেই। আর যে অন্ধ সাজবে তবে তা (তার অনিষ্টতা) তার ওপরই (বর্তাবে)। আর বলুন, (হে মুহাম্মদ সাঃ) আমি (এখানে) তোমাদের ওপর সংরক্ষক নই। (চাই তোমরা এই সত্যকে গ্রহণ কর কিংবা প্রত্যাখ্যান কর)।’ (আনআম, ০৬ : ১০৪)

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি ঐ আমলে কিভাবে ধারণা করলেন মানুষ একদিন আকাশে উড়বে এবং শেষ বিচারের দিন সবাই মারা যাবে, তিনি কি এসব বিষয়ের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *