বিংশ শতাব্দীর একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার
কুরআন মাজিদ তিন প্রকারের সৃষ্টির কথা বারবার উল্লেখ করেছে : যেসব বিষয় বা বস্তু নভোমন্ডলে রয়েছে, যেসব বস্তু ভূমন্ডলে রয়েছে এবং যেসব বস্তু নভোমন্ডলের ও ভূ্মন্ডলের মাঝখানে রয়েছে।
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا إِلَّا بِالْحَقِّ وَإِنَّ السَّاعَةَ لَآَتِيَةٌ فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِيلَ (85)
আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ের মাঝখানে যা কিছু আছে তা যথার্থভাবেই সৃষ্টি করেছি। (হিজর, ১৫ : ৮৫)
لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَمَا تَحْتَ الثَّرَى (6)
নভোমন্ডল, ভূমন্ডল, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং সিক্ত ভূগর্ভে যা আছে তা তাঁরই। (ত্বাহা, ২০ : ০৬)
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَاعِبِينَ (16)
নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মাঝে যা আছে, তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। (আম্বিয়া, ২১ : ১৬)
কুরআন মাজিদের আরও কিছু আয়াত সেসব বস্তুর নির্দেশ করে যা আল্লাহ তাআলা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল মাঝখানে সৃষ্টি করেছেন। যেমন : ২৫:৫৯; ৩২:০৪; ৪৩:৮৫; ৪৪:০৭, ৩৮; ৪৬:০৩; ৫০:৩৮; এবং ৭৮:৩৭।
মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা— আমাদের সাপ্রতিক জ্ঞানের ভিত্তিতে আমরা বর্তমানে কুরআন মাজিদে বারংবার উল্লিখিত এসব বিষয়ের ব্যাখ্যার একটি পর্যায়ে রয়েছি। বৈজ্ঞানিকগণ সাপ্রতিক সময়ে মহাশূন্যে ছায়াপথ বহির্ভূত বস্তুর উপস্থিতি আবিষ্কার করেছে। আমাদের মহাবিশ্বের মৌলিক গঠন প্রক্রিয়ায় সংযুক্তি ও একীভূত হওয়ার পর বিভাজনের সংশিষ্টতা রয়েছে। যেমনটি ইতোপূর্বে বর্ণিত হয়েছে, কুরআন মাজিদ মহাবিশ্বের গঠন প্রক্রিয়ায় বর্ণনা দিয়েছে সর্বাধিক উপযুক্ত আরবি শব্দ ‘ফাতাক্ব’ (বিভাজন) ও ‘রাতাক্ব’ (সংযুক্তি)- এর মাধ্যমে। ‘রাতাক্ব’ (সংযুক্তি)- এর প্রাথমিক প্রক্রিয়ায় সময় কিছু টুকরো মহাশূন্যের বাইরে থেকে গিয়েছিল। এগুলিকেই বর্তমানে আন্তছায়াপথীয় বস্তু বলা হয়। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অতি সম্প্রতিই সেসবের উপস্থিতি সনাক্ত করতে পেরেছে। পক্ষান্তরে কুরআন মাজিদ এসব বিক্ষিপ্ত টুকরার উপস্থিতির স্বীকৃতি দিয়েছে বহু শতাব্দী পূর্বে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি মহাকাশের আন্তঃছায়াপথীয় বস্তুর উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।