পৃথিবীর বিকাশে চারটি ধাপ
وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ مِنْ فَوْقِهَا وَبَارَكَ فِيهَا وَقَدَّرَ فِيهَا أَقْوَاتَهَا فِي أَرْبَعَةِ أَيَّامٍ سَوَاءً لِلسَّائِلِينَ (10)
আর তিনি পৃথিবীর উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন এবং তাতে বরকত দান করেছেন এবং চারদিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন, তাদের জন্যে (তথ্যস্বরূপ) যার জিজ্ঞাসা করে। (ফুসসিলাত, ৪১ : ১০)
বর্তমান বিজ্ঞানীগণ পৃথিবীর ইতিহাসকে নিন্মবর্ণিত প্রধান চারটি ভাগে বিভক্ত করেন।
১. প্রথম যুগ : ৬০০ থেকে ৩৩০০ মিলিয়ন বছর। এই যুগে পৃথিবী তার আদি পিণ্ড থেকে বিকশিত হয় এবং একটি স্বতন্ত্র গ্রহের রূপ ধারন করে। জীবনের প্রাচুর্য ও বৈচিত্র্যের মাধ্যমে এ যুগের সমাপ্তি ঘটে।
২. দ্বিতীয় যুগ : ২৩০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন বছর। এই যুগে সর্বপ্রথম ভূমিজ লতা-পাতা, উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ দৃষ্টিগোচর হয়। এটি হল প্রাচীন প্রাণ যুগ।
৩. তৃতীয় যুগ : ৬৩ থেকে ২৩০ মিলিয়ন বছর। এটিকে মধ্যপ্রাণ যুগ বলে বিবেচনা করা হয়। মৌসুমী পরিবর্তনের সঙ্গে বৃক্ষ-লতা ভালভাবে খাপ খেয়ে গিয়েছিল। মেরুদন্ডী প্রাণী, স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিও এ যুগে গোচরীভূত হয়। আর এ যুগে ডাইনোসর ছিল প্রচুর।
৪. চতুর্থ যুগ : বর্তমান সময় থেকে ৬৩ মিলিয়ন বছর। এই যুগ জীবনের বর্তমান ধাপকে অন্তর্ভুক্ত করে।
এটিই সম্ভবত সেই চার যুগ যা কুরআন মাজিদ বর্ণনা করা হয়েছে।
‘এবং তিনি (আল্লাহ) পৃথিবীর উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন……….তাতে খাদ্যের সংস্থান করেছেন চারদিনের মধ্যে (চারটি সুষম সময়ের মধ্যে)।’
এখানে লক্ষণীয় যে, পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের এই চারটি সময়কাল আকাশ, পৃথিবী ও পুরো মহাবিশ্ব সৃষ্টির ছয় সময়কাল থেকে ভিন্ন। সেগুলি অতীত হয়ে গেছে পাঁচ বিলিয়ন বছরেরও অধিককাল পূর্বে যেখানে মহাবিশ্বের বয়স বর্তমানে ১০ বিলিয়ন বছরেরও অধিক।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি পৃথিবীর ক্রমবিকাশের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।