পরম সত্য
একজন (মানুষ) লেখক সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট বিষয় কিংবা কিছু পারস্পরিক সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানগত নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। যেমন – কেউ ইতিহাস কিংবা অর্থনীতি কিংবা দর্শন কিংবা পদার্থ বিদ্যা কিংবা নীতিশাস্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে লিখতে পারে। বহুসংখ্যক পরস্পর সম্পর্কিত নয় এমন বিভিন্ন জ্ঞানশাস্ত্রের ওপর যুগপৎভাবে প্রয়োজন মাফিক গুরুত্ব বজায় রেখে ও জ্ঞানের পূর্ণতার মাধ্যমে- কোনো মানুষের পক্ষে কোরআনের মত কোন গ্রন্থ তৈরী সম্ভব নয়। কোরআন পড়লে একজন সাধারণ পাঠকও দেখতে পাবে, কুরআন মাজিদ ইতিহাস, দর্শন, অর্থনীতি, আকাইদ, সামাজিক বিধান, বিজ্ঞান ইত্যাদি বহুসংখ্যক বিষয়ে আলোচনা করেছে, ভাষার সমান গতিধারা ও জ্ঞানগভীরতার বৈশিষ্ট অক্ষুণ্ণ রেখে। তাছাড়া জ্ঞানের যে শাখা সম্পর্কেই কুরআন মাজিদ যা কিছু বর্ণনা দিয়েছে তা চির সত্য হিসেবে সদা প্রমাণিত। কুরআন মাজিদের কোনো সাধারণ বিবরণের ক্ষেত্রেও কখনও কোনো ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া যায় নি। এমন সুনিপুণ ও নিশ্চিত জ্ঞানের ভিত্তিতে কোনো মানুষের পক্ষে এমন একটি সমন্বিত গ্রন্থ রচনা করা সম্ভব নয়।