দেরী করা যাবে না (No late sitting)
মানুষের জীবনে সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হল সময়। আর এই সময়ের সাথে প্রতিষ্ঠানের সেবারও সম্পর্ক রয়েছে। মানুষ দ্রুত সেবা পেতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতেও কার্পণ্যবোধ করেনা। যে প্রতিষ্ঠান যত দ্রুত সেবা দিতে পারে, সেই প্রতিষ্ঠানের সেবার মান তত উন্নত। তবে দ্রুত সেবা দিতে গেলে ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সেবা যেমন দ্রুত হওয়া জরুরী, তেমনি নির্ভুল হওয়াও জরুরী। সেবা গ্রহণের সময় অনুযায়ী একই সেবার জন্য বিভিন্ন মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। আর মান অনুযায়ী সেবার দামও হয় ভিন্ন ভিন্ন। যেমন- ভাসমান চায়ের দোকান, রাস্তার পাশের চায়ের দোকান, হোটেলের চায়ের দোকান এবং অভিজাত হোটেলের চায়ের দোকান ইত্যাদি। একই সেবা কিন্তু স্থান, মান ও সময়ের কারণে দাম হয় ভিন্ন ভিন্ন। তবে সেবা গ্রহণের সমাপ্তির পর আর বসে থাকা উচিত নয়। এতে যেমন নিজের সময় নষ্ট হয় এমনি ঐ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ও ক্ষতি হয়। কারণ, সেখানে নতুন গ্রাহক আসতে পারে। কাজ শেষ হবার পর ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করতে কোরআনেও পরোক্ষভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোরআনে (৫৮:১১) আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِذَا قِيلَ لَكُمْ تَفَسَّحُوا فِي الْمَجَالِسِ فَافْسَحُوا يَفْسَحِ اللَّهُ لَكُمْ وَإِذَا قِيلَ انْشُزُوا فَانْشُزُوا يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ (11)
অর্থঃ…আবার কখনও যদি জায়গা ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে বলা হয়, তাহলে উঠে দাড়িয়ে যেও, তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের আল্লাহর পক্ষ থেকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাদের কেয়ামতের দিন মহামর্যাদা দান করবেন; তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তায়ালা সে ব্যাপারে পুর্ণ খবর রাখেন।
And when you are told, “arise” then arise.
সালাত শেষ হয়ে গেলেও কোন যথোপযুক্ত কারণ ব্যতীত মসজিদে অবস্থান করা উচিত নয়। কারণ, মসজিদ বিশ্রামের জায়গা নয়। উপরোক্ত আয়াত থেকে অনুধাবন করা যায় যে, অহেতুক কোন গুরুত্বপুর্ন স্থানে বেশি সময় নিয়ে অবস্থান করা ঠিক নয়। কাজ শেষ হয়ে গেলে দ্রুত চলে আসতে হবে। ইসলাম অহেতুক সময় অপচয় করা পছন্দ করেনা। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো যথা সময়ে প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধ করে দেয় এবং নিশ্চিত করে কেউ যেন বিনা কারণে বসে না থাকে। কারণ, এতে করে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ওভারটাইম ইত্যাদির ব্যয় বাড়তে থাকে আর কর্মকর্তা ও কর্মীদের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় এবং পরের দিন প্রতিষ্ঠানে আসতেও দেরী হবার সুযোগ তৈরী হয়।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি মানুষের সেবার সাথে সময়ের সম্পর্কের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।