দলে দলে মানুষের ইসলামে প্রবেশ
إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ (1) وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا (2) فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا (3)
যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে আর তুমি লোকদেরকে দলে দলে আল্লাহর দীনে দাখিল হতে দেখবে, তখন তুমি তোমার রবের সপ্রশংস তাসবিহ পাঠ কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয়
তিনি তাওবা কবুলকারী। (নাসর, ১১০ : ০১-০৩)
এই আয়াতসমূহ দু’টি ভিন্ন ভিন্ন ভবিষ্যৎবাণী প্রদান করে, যা কিছুটা ব্যাখ্যার দাবি রাখে। প্রথমতঃ কুরআন মাজিদের বর্ণনা, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে’ এটি মুসলমানদের একটি সুস্পষ্ট বিজয়ের আগাম বার্তা। কুরআন মাজিদের টীকাকারগণ বলেন, এই আয়াত অবতীর্ণ হয় খায়বার যুদ্ধের পর ৭ম হিজরিতে। আর এই ভবিষ্যৎবাণীর বাস্তবায়ন ঘটে মক্কা বিজয় রূপে, ৮ম হিজরিতে। দ্বিতীয় ভবিষ্যৎবাণী পাওয়া যায় কুরআন মাজিদের এই বর্ণনায়- ‘তুমি লোকদেরকে দলে দলে আল্লাহর দীনে দাখিল হতে দেখবে।’ ইতিহাস বলে, যখন মুসলমানদের হাতে মক্কার পতন হয়, আরব উপদ্বীপের চতুর্দিক থেকে অসংখ্য আরব গোত্র মক্কায় আগমন করে এবং মহানবী (সাঃ ) এর হাতে বায়আত হয়ে ইসলামের ছায়াতলে প্রবেশ করে। বস্তুত এত অধিক গোত্র মক্কায় আগমন করে ইসলাম গ্রহণ করে যে, ইসলামের ইতিহাসে হিজরি ৯ম সালকে ‘প্রতিনিধি আগমনের বছর’ নামে আখ্যায়িত করা হয়। বাস্তবতা হল,
কুরআন মাজিদের উপরোক্ত ভবিষ্যৎবাণী দুই বছরের সংক্ষিপ্ত সময়ের ভেতরে বাস্তবায়িত হয়। যা কুরআন মাজিদের মুজিজা বা বিস্ময়কর প্রকৃতির অন্য একটি সাক্ষ্য।