গর্ভধারণের ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলার ভূমিকা
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ (13)
হে মানুষ, আমি (আল্লাহ) তোমাদেরকে এক নারী ও এক পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি। (হুজুরাত, ৪৯ : ১৩)
وَأَنَّهُ خَلَقَ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنْثَى (45) مِنْ نُطْفَةٍ إِذَا تُمْنَى (46)
আর তিনি (আল্লাহ) আর তিনিই যগু ল সৃষ্টি করেন- পুরুষ ও নারী। (মিশ্রিত) শুক্রবিন্দু থেকে যখন তা নিক্ষিপ্ত হয়। (নাজম, ৫৩ : ৪৫-৪৬)
পূর্বেকার একদল বিজ্ঞানীর বিশ্বাস ছিল, পুরুষের নিঃসৃত বীর্য কিংবা স্ত্রীদের রজঃস্রাব একটি নবজাত শিশুর ভ্রূণ গঠনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে না। তাদের ধারণা ছিল, পুরুষের বীর্যে একটি পূর্ণ আকৃত্রির মানুষের অস্তিত্ব বিদ্যমান রয়েছে এবং মানুষের বিকাশ তার একটি সাধারণ মৌলিক আকৃতি বড় হওয়া থেকে অধিক নয়, যা গর্ভধারণের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রাক্কালে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। অন্যরা- যেমনটি পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে- বিশ্বাস করতেন, একটি নবজাত শিশুর গঠনে কেবল মহিলারই ভূমিকা রয়েছে এবং পুরুষের বীর্য তার বিকাশের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা পালন করে না। বিজ্ঞানী লিউয়েন হুক ১৭৭৩ সালে সাধারণ অনুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। ১৭৭৫ সালে বিজ্ঞানী স্প্যালাঞ্জানি প্রমাণ করেন, পুরুষের শুক্রাণু এবং মহিলার ডিম্বানু উভয়টিই একটি নবজাত শিশুর গঠনে সমান ভূমিকা রাখে। বিস্ময়ের ব্যাপার হল, কুরআন মাজিদ এই তথ্যটি উল্লেখ করেছে বহু শতাব্দী পূর্বে।