খৃস্টান ও ইহুদিদের পারস্পরিক সম্পর্ক
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ (51)
হে মুমিনগণ, ইহুদি ও নাসারাকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হেদায়েত দেন না। (মায়েদা, ০৫ : ৫১)
চারপাশে ইহুদি ও খৃস্টানদের বর্তমানের পারস্পরিক ঘটনা-প্রবাহের দিকে তাকিয়ে একজন সাধারণ পাঠক এই আয়াতে কুরআন মাজিদের মুজিজা খুঁজে পাবে না। একজন পাঠক কেবল তখনই এই আয়াতের মর্ম উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে যখন সে এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে ইহুদি ও খৃস্টানদের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করবেন। ইহুদিরা বহু শতাব্দী পর্যন্ত আরবে বসবাস করত। দু’টি প্রধান শহরে তাদের শক্তিশালী বসতি ছিল। একটি মদিনা এবং অপরটি খায়বার। তারা ছিল ব্যবসায়ী ও পুঁজিপতি। তারা মাত্রাতিরিক্ত সুদের ওপর টাকা ঋণ দিত এবং এই শহরদ্বয়ের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করত। তারা এতই শক্তিশালী ছিল যে, মহানবী (সাঃ ) যখন মদিনায় হিজরত করেন,তিনি তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য একটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। আরবে কোনো খৃস্টানপল্লী ছিল বলে ইতিহাসে নজির নেই। অধিকন্তু ইতিহাসে ইহুদি কিংবা খৃস্টানদের কোনো ধরনের পারস্পরিক সম্পর্ক কিংবা মুসলামান ও খৃস্টানদের মধ্যে সম্পর্কের কোনো নজিরও নেই।
এই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল মদিনায় ৬ষ্ঠ হিজরির দিকে। সে সময় কেউ একথা ধারণা করতে পারে নি যে, মানব ইতিহাসে এমন একটি সময় আসবে যখন ইহুদি ও খৃস্টানরা পরস্পর বন্ধুতে পরিণত হবে। কুরআন
মাজিদ এই ভবিষ্যৎবাণী প্রদান করে শত শত বছর পূর্বে।