কোরআনই সার্বজনীন- সকল বিভাগ, বয়স, শিক্ষার মান ও রুচির জন্য অভিন্ন গ্রন্থ
একজন সফল লেখক সর্বদা পাঠকের রুচি বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে নিজের লেখার স্টাইল ও ভাষা পরিবর্তন করে থাকেন। যা একজন তরুণের মনে আবেদন সৃষ্টি করে, একজন বৃদ্ধলোকের মনে সৃষ্টি করে না। তেমনিভাবে যা একজন মূর্খ ব্যক্তির মনে আবেদন সৃষ্টি করে, একজন শিক্ষিত লোকের মনে আবেদন সৃষ্টি করে না। তাছাড়া জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার বিচারেও সমাজে নানা রকমের মানুষ রয়েছে। এসব লোক ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচের লেখার মাধ্যমে আলোড়িত হয়ে থাকে। যেমন, একজন সুখী মানুষ যা পড়তে ভালবাসে তা একজন অসুখী মানুষ পড়তে না ও ভালবাসতে পারে। কিছু লোক কবিতা পড়তে ভালবাসে, অন্যরা ভালবাসে গদ্য পড়তে। আবার, অন্যদিকে কিছু লোক সাদামাটা ভাষা পড়তে ভালবাসে, আর কিছু লোক ভালবাসে গুরগম্ভীর ধাঁচের লেখা পড়তে। কোনো ব্যক্তিই এমন কোনো গ্রন্থ রচনা করেনি যা মানব সমাজের সকল বিভাগ, বয়স, শিক্ষার মান ও রুচির মানুষের মনে আবেদন সৃষ্টি করতে পারে। তাদেরকে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করতে পারে। কুরআন মাজিদই একমাত্র গ্রন্থ যা মানব সমাজের সকল পর্যায় ও ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর মানুষের প্রয়োজন সার্বজনীনভাবে পূরণ করেছে। একটি বিপুল সংখ্যক মানুষকে সম্বোধন ও তাদের আত্মায় আবেদন সৃষ্টি করা এবং তাদেরকে নিরাপত্তা ও শান্তি— প্রদান করার এই অতুলনীয় যোগ্যতা কুরআন মাজিদের ভাষার একটি বিশেষ ‘মিরাকল’ বা মুজিজা।