কেবল একটি বিষয় নয় বরং সকল বিষয়ের সমাহার
যে সময় কুরআন অবতীর্ণ হচ্ছিল, তৎকালীন আরবি গদ্য ও পদ্য সাহিত্য সমসাময়িক আরব পরিবেশ, সংস্কৃতি, প্রথা ও ইতিহাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এভাবে অধিকাংশ আরবি সাহিত্য গড়ে উঠেছিল উট, ঘোড়া, নারী, গোত্রপতি, গোত্রীয় সংঘাত ও গোত্রীয় ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ কিংবা প্রশংসার ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু কুরআন মাজিদ এমন কোনো কিছুর বিবরণ দেয় না, যা তৎকালীন আরবীয় পরিবেশ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ইত্যাদির প্রতিফলন বলে বিবেচিত হতে পারে। তাছাড়া কুরআন মাজিদ বিভিন্ন বিষয় ও ঘটনার বর্ণনার ক্ষেত্রে তার নিজ বিশেষ শব্দ ও পরিভাষা ব্যবহার করেছে। এসব শব্দ ও পরিভাষার প্রকৃত অর্থ অধিকাংশই তৎকালীন সমসাময়িক লেখকদের জানা ছিল না। যেমন, কুরআন মাজিদ তার অধ্যায় বর্ণনার ক্ষেত্রে সুরা এবং তার চরণ বুঝানোর জন্য ‘আয়াত’ শব্দ ব্যবহার করেছে। অথচ তৎপূর্বের আরবি বইসমূহে অধ্যায় বুঝানোর জন্য ‘কাসিদা’ এবং চরণ বুঝানোর জন্য ‘বায়ত’ পরিভাষা ব্যবহৃত হত।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন লেখক ছিলেন যিনি পৃথিবীর সকল বিষয়ের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।
(সংগ্রহ করা হয়েছে)