কুরআন মাজিদে একটি অসঙ্গতি খুঁজে বের কর
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآَنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا (82)
তারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? আর যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ হতে হত, তবে অবশ্যই তারা এতে অনেক বৈপরিত্য দেখতে পেত। (নিসা, ০৪ : ৮২)
আসুন আমরা মানব ইতিহাসের একটি সাধারণ ঘটনা স্মরণ করি। যখন
থেকে মহানবী (সাঃ ) এর ওপর কুরআন মাজিদ অবতীর্ণ হয়, একদল কাফির সর্বদা এর বিরুদ্ধাচরণ করে আসে। তারা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে একথা প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, কুরআন মাজিদ সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থ নয়। বলাবাহুল্য, তারা উপর্যুক্ত আয়াতটি পড়েছে। বিগত চৌদ্দশ বছরে কোনো ব্যক্তিই এ যাবৎ পুরো কুরআন মাজিদে একটি বৈপরিত্য খুঁজে বের করতে পারে নি। যদি বর্তমান সময়ের বাইবেলের ভার্সন থেকে কিছু উদ্ধৃতি দেয়া হয় তবে পাঠকবৃন্দ বিষয়টি ভালভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারবেন। বাস্তব কথা হল,
বর্তমান সময়ের বাইবেলে এত বেশি বৈপরিত্য ও অসঙ্গতি বিদ্যমান এবং তা এত ভালভাবে প্রমাণিত যে, খৃস্টানদের প্রতিটি দলই তা অস্বীকার করে নেয়। কুরআন মাজিদকে আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ গ্রন্থ বলতে বর্তমানযুগেও যারা নারাজ তাদের জন্য এ চ্যালেঞ্জ এখনো উন্মুক্ত।