কুরআনের মত দশটি সুরা রচনা করে নিয়ে আস
أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ قُلْ فَأْتُوا بِعَشْرِ سُوَرٍ مِثْلِهِ مُفْتَرَيَاتٍ وَادْعُوا مَنِ اسْتَطَعْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ (13)
নাকি তারা বলে, সে এটি রটনা করেছে? বল, ‘তাহলে তোমরা কমপক্ষে দশটি সুরা বানিয়ে নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে পার (তোমাদের সাহায্যের জন্য) ডেকে নিয়ে আস, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (হুদ, ১১ : ১৩)
আমরা এক্ষেত্রে মুসলমান ও কুরআনের বিপক্ষে মক্কাবাসীদের বিদ্বেষ ও শত্রুতার কথা একটু স্মরণ করি। এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, কুরআন নাজিলের সময় সকল আরব, বিশেষত যারা মক্কায় ছিল, কুরআনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়। তারা কুরআনের বাণীকে মিটিয়ে দিতে এবং মুসলমানদেরকে
সমূলে উৎখাত করতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যায়। মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর সাথী-সঙ্গীগণসহ মদিনায় হিজরত করা পর্যন্ত তাদের এ তৎপরতা অব্যাহত থাকে। তারা মহানবী (সাঃ) এর বিরুদ্ধে কতিপয় যুদ্ধেও লিপ্ত হয়। এতে তাদের কিছু পরাজয়, অপমান ও জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি গুণতে হয়। তারা তাদের একজন কবিকে ডেকে কুরআন মাজিদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কুরআন মাজিদের মত কিছু আয়াত রচনা করিয়ে নিলে এসকল ভোগান্তি এবং জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি সহজে এড়াতে পারত। তবে বাস্তবতা হল, আরবরা কুরআন মাজিদের চ্যালেঞ্জের মুকাবিলা করতে সক্ষম হয় নি, না এর অবতরণকালে, আর না বিগত চৌদ্দশ বছরের দীর্ঘ সময়ে।