একাধিক বিশ্বের উপস্থিতি
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (1)
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যে, যিনি সকল বিশ্বের প্রতিপালক।
(ফাতিহা, ০১ : ০১)
এটি কুরআন মাজিদের প্রথম সুরার প্রথম আয়াত। চৌদ্দশত বছর পূর্বে মানুষের মন, পৃথিবী, সৌর জগৎ কিংবা ছায়াপথসমূহ সম্পর্কে কোনো ধরনের স্বচ্ছ ধারণা করতে অক্ষম ছিল। এমতাবস্থায় কুরআন মাজিদের সর্বপ্রথম আয়াত বলে যে, আল্লাহ তাআলা সকল বিশ্বের অধিপতি, যা পৃথিবী ব্যতীত আরও একাধিক বিশ্বের উপস্থিতির সাক্ষ্য বহন করে। বস্তুত ‘সকল বিশ্বের অধিপতি’ কথাটি কুরআন মাজিদে সর্বমোট ৭৩ বার দেখা যায়। যেমন : সুরা ও আয়াত নং ২: ১৩১; ৬: ৪৫,৭১; ২৬: ১৬; ৩২: ০২; ৪১: ০৯; ৪৩: ৪৬; ৬৯: ৪৩ ইত্যাদি। বর্তমানে মানব সমাজ এ ব্যাপারে সম্যক অবহিত যে, পৃথিবী ছাড়া আরও গ্রহ রয়েছে। এই বিষয়টি জানা গেছে কেবল টেলিস্কোপ আবিষ্কার ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষ সাধনের
মাধ্যমে। অথচ সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা তার প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওপর এই জ্ঞান অবতীর্ণ করেছেন মানুষ টেলিস্কোপ ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের অনেক পূর্বে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি মহাকাশের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।