ইহুদি ও খৃস্টানদের ভূমিকা
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِلَّذِينَ آَمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُمْ مَوَدَّةً لِلَّذِينَ آَمَنُوا الَّذِينَ قَالُوا إِنَّا نَصَارَى ذَلِكَ بِأَنَّ مِنْهُمْ قِسِّيسِينَ وَرُهْبَانًا وَأَنَّهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُونَ (82)
তুমি অবশ্যই মুমিনদের জন্য মানুষের মধ্যে শত্রুতায় অধিক কঠোর পাবে ইহুদিদেরকে ও মুশরিকদেরকে। আর মুমিনদের জন্যে বন্ধুতে তাদের জন্যে নিকটতর পাবে তাদেরকে যারা বলে, ‘আমরা নাসারা (খ্রিস্টান)’। (মায়েদা, ০৫ : ৮২)
এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট ঘোষণা, সর্ববিষয়ে যার জ্ঞান অগাধ ও অসীম। বিগত চৌদ্দশত বছর যাবৎ এই ভবিষ্যৎবাণীর
সত্যতা প্রত্যক্ষ করা গেছে। আমাদের বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে তা আরও অধিক পরিষ্কারভাবে দেখা যেতে পারে। ইহুদিরা ফিলিস্তিন সমস্যাকে একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক সমস্যা থেকে বিশ্বের সকল মুসলমানের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধের পরিস্থিতিতে পরিণত করেছে। যদি ইহুদিরা তাদের ন্যূনতম বিবেচনা শক্তি কাজে লাগাত, তারা ভাণ করে হলেও মুসলমানদের প্রতি তাদের ভালবাসা ও দয়া দেখাত এবং এ কথা দাবি করতে পারত যে, কুরআন মাজিদ তাদের সম্পর্কে মিথ্যা ভবিষ্যৎবাণী প্রদান করেছে। এটি কুরআন মাজিদের এখনো মুজিজা যে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে এই বিবেচনা বোধ থেকে বঞ্চিত রেখেছেন।