অজানা জগতে বিপরীত জোড়ার অস্তিত্ব
سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ (36)
পবিত্র ও মহান সে সত্তা যিনি সব কিছু জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, জমিন যা উৎপন্ন করেছে তা থেকে, মানুষের নিজেদের মধ্য থেকে এবং সেসব থেকে যা তারা জানে না। (ইয়াসিন, ৩৬ : ৩৬)
কুরআন মাজিদ এই আয়াতে সব ধরনের জীবনের বিপরীত জোড়ার অস্তিত্ব ঘোষণা করে। এটি সেসব প্রজাতিসমূহকেও অন্তর্ভুক্ত করে কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে যা ছিল মানুষের অজানা। বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণা ব্যাকটেরিয়া নামে পরিচিত একটি সামগ্রিক ক্ষুদ্র জীব-জগতের আবিষ্কার করেছে। এটি বিস্ময়কর ও লক্ষণীয় বিষয় যে, পুরো ব্যাকটেরিয়া জগত ‘গ্রাম পজিটিভ’ ও ‘গ্রাম নেগেটিভ’ নামে পরিচিত দু’টি বিপরীতধর্মী জোড়ায় বিভক্ত। অনুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তা উদ্ঘাটন করার শত শত বছর আগে কুরআন মাজিদ এই তথ্য প্রদান করেছে।
বৃটিশ বিজ্ঞানী পল ডির্যাক ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি দেখান প্রত্যেক বস্তুই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৩৩ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। কুরআন মাজিদ এই আবিষ্কারের ওপর নোবেল পুরস্কার প্রদানের শত শত বছর পূর্বেই তার বর্ণনা দিয়েছে।