সূরা নূহ এর অলৌকিকত্বঃ

Nuh

সূরা নূহ এর অলৌকিকত্বঃ­

কোরআনে সুরা নূহ হল ৭১ তম সুরা এবং এই সুরায় ২৮ টি আয়াত আছে। ৭১ এবং ২৮ এর বিয়োগফল, ৭১-২৮ = ৪৩, আর সম্পুর্ণ কোরআনে নূহ নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে মোট ৪৩ বার।

  1. সম্পুর্ণ কোরআনে নূহ নবীর নাম শেষ বার উল্লেখ করা হয়েছে সূরা নূহতে। সূরা নূহের পরের সুরা গুলোতে নূহ নবীর নাম আর পাওয়া যায়না। অবাক হবার বিষয় হল, ৭১ নম্বর সুরা নুহের পরে কোরআনে আর ৪৩ টি সুরা বাকী থাকে এবং এদের একটিতেও নূহ নবীর নাম নেই।
  2. ৭১ নম্বর সুরা নুহের পরে কোরআনে যেমন আর ৪৩ টি সুরা বাকী থাকে যেখানে নূহ নবীর নাম নেই, তেমনি ৭১ নম্বর সুরা নুহের পুর্বে কোরআনে যে ৪৩ টি সুরা আছে সেখানেও নূহ নবীর নাম নেই ।
  3. আগেই বলেছি, নূহ সুরায় ২৮ টি আয়াত আছে। আবার, অন্যদিকে সম্পুর্ন কোরআনেও নূহ নবীর কথা যে সূরাগুলোয় উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের সংখ্যাও ২৮ টি।
  4. নূহ শব্দতিতে তিনটি অক্ষর আছে। সুরা নূহতে ‘নূহ’ শব্দটি তিনবার এসেছে। উপরন্তু এই সুরার তৃতীয় শব্দটি হল ‘নূহ’। কোরআনেও প্রথম নূহ শব্দটি এসেছে তৃতীয় সূরায়। আর এই সুরার তেত্রিশ নম্বর আয়াতে প্রথম নূহ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে।
  5. ‘নুহের জাতি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মোট ১৪ বার আর ১৪ তম সুংখ্যাটি হল ৪৩। আবার, সুরা নুহের ১৪ নম্বর আয়াতেও তিনটি শব্দ আছে।
  6. আদম (আঃ) এর পর নূহ নবী হলেন আমাদের দ্বিতীয় পিতা কারণ ঐ আমলে সব ধ্বংস হয়ে আবার নতুন করে শুরু হয়েছিল। মানব কোষে ৪৬ = ২৩+২৩ টি ক্রমোজোম আছে। অর্থ্যাৎ, ২৩ জোড়া ক্রোমজোম। কোরআনের (২৩:২৩) নং আয়াতের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে। এই আয়াতেও নূহ নবীর নাম উল্লেখ করা আছে।
  7. ১১ তম সুরাতে নূহ নবীর নাম সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। আবার, কোরআনে ১১ তম বার যেখানে নূহ নামটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটিও এই ১১ তম সুরাতেই উল্লিখিত হয়েছে। আমরা এখন সেই (১১:৪৬) নং আয়াতের দিকে লক্ষ্য করব। আয়াত নম্বর ক্রোমজোমকে নির্দেশ করছে। আবার এই সুরায় ২৩ টি শব্দ আছে যা ২৩ জোড়া ক্রমোজোমের নির্দেশক।

এভাবে আরও অনেক গানিতিক সম্পর্ক আছে তবে সহজগুলোই উল্লেখ করলাম। যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন গনিতবিদ ছিলেন, যিনি ওহী বর্ননার সময় এত সতর্ক ছিলেন যে, সম্পুর্ন সুরা নূহ এর মধ্যে অপুর্ব গানিতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, অথচ ইতিহাস বলে তিনি পড়তেও জানতেন না এবং লিখতেও জানতেন না? যেখানে একজন শিক্ষিত মানুষের পক্ষেই এরকম সূরা তৈরী সম্ভব নয় সেখানে আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে রাসুল (সঃ) কিভাবে এই কোরআনের সূরা রচনা করবেন অথচ তিনি লিখতেও জানতেন না এবং পড়তেও জানতেন না? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *