সুরা ফাতহ (Surah Fath 48, ayat 04) এবং সুরা ফাতহ (Surah Fath 48, ayat 26)

sura fath

সুরা ফাতহ (Surah Fath 48, ayat 04) এবং সুরা ফাতহ (Surah Fath 48, ayat 26)

কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য্যের আরও একটি প্রমাণ পাওয়া যাবে উপরের আয়াত দুইটি বিশ্লেষণ করলে। ইংরেজীতে preposition যেমন ব্যবহৃত হয়, তেমনি আরবিতেও preposition যেমন ব্যবহৃত হয়। যেমন فِي অর্থ ভিতরে এবং عَلَى অর্থ উপরে।

সুরা ফাতহ (৪৮:০৪) এর আয়াতটি নিন্মরুপ,

هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ السَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ

অর্থঃ তিনি মুমিনদের অন্তরের মধ্যে প্রশান্তি নাযিল করেন।

আবার, সুরা ফাতহ (৪৮:২৬) এর আয়াতটির অংশটুকু নিন্মরুপ,

أَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ…

অর্থঃ আল্লাহ তায়ালা তার রসুলের উপর ও মোমেনদের উপর…

মানুষের যতগুলো খারাপ মানসিক অবস্থা থাকে তার মধ্যে প্রধান দুইটি হল, ভয় এবং রাগ

 আর অন্যদিকে রাগ মনের ভিতরে থাকে। রাগ বেশি হলে তা আচরণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। অর্থ্যাৎ, রাগ ভিতর থেকে বাইরে আসে। আর এ জন্যই ৪৮:০৪ আয়াতে فِي শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। فِي শব্দটির অর্থ হল ভিতর বা মধ্যে। ভয় আমাদের উপর আসে। ভয় সাধারণত শরীরের বাইরে থেকে ভেতরে আসে। বাইরের বিভিন্ন ঘটনার কারণে ভয় আমাদের উপর আসে। ভয়ের জন্য আমাদের ত্বক বা লোম খাড়া হয়ে যায়।

আর এ জন্যই ৪৮:২৬ আয়াতে عَلَى শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। عَلَى অর্থ উপরে।

 

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন ভাষাবিজ্ঞানী ছিলেন, যিনি ওহী বর্ননার সময় উপরের ভাষাগত সৌন্দর্যের কথা মাথায় রেখে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন, অথচ ইতিহাস বলে তিনি পড়তেও জানতেন না এবং লিখতেও জানতেন না? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *