প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই কিছু গোপনীয় বিষয় থাকে। সব তথ্য সবার জন্য নয়। ঠিক একই ভাবে সকল স্থানে সবার প্রবেশাধিকার থাকেনা। নিরাপত্তা জনিত কারণে এমনটি করতে হয়। সকল তথ্য সাবার জন্য উন্মুক্ত করে দিলে সেই প্রতিষ্ঠান, সমাজ বা দেশে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পরে, কারণ প্রতিটি মানুষের বোধগম্যতা এবং সামাজিক বাস্তবতা ভিন্ন ভিন্ন এবং এই কারণেই একই তথ্যে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে। আর এই কারনেই, তথ্য সম্প্রচারের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি আছে। তথ্যই শক্তি। যে ব্যক্তি ব্যবসার তথ্য আগে সংগ্রহ করতে পারে সেই বেশি লাভ করতে পারে। আর এ জন্যই প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তথ্যসহ অন্যান্য গোপনীয় বিষয় সংরক্ষণ করে। গোপনীয় বিষয় জানার অর্থ হল প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা জানা। আর যে ব্যক্তি কোন প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা জানে, তার পক্ষে ঐ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিও করা সম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে, কোন ব্যক্তিকে সুনির্দিষ্ট কারণে চাকরীচ্যুত করা হলে পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তি উক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করতে চায়। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ ধরণের চাকরীচ্যুত ব্যক্তিদের উপর আলাদাভাবে নজরদারি রাখা হয়। সামরিক গোপনীয় বিষয় নিয়ন্ত্রনের জন্যও কর্মকর্তাদের অবসরের পরও তাদের উপর আলাদাভাবে নজরদারি রাখা হয়। এ বিষয়ে কোরআনের (০৭:২২) আয়াতটি উল্লেখ করা যেতে পারে।
فَدَلَّاهُمَا بِغُرُورٍ فَلَمَّا ذَاقَا الشَّجَرَةَ بَدَتْ لَهُمَا سَوْآَتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ وَنَادَاهُمَا رَبُّهُمَا أَلَمْ أَنْهَكُمَا عَنْ تِلْكُمَا الشَّجَرَةِ وَأَقُلْ لَكُمَا إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمَا عَدُوٌّ مُبِينٌ (22)
অর্থঃ এভাবে সে দুজনকেই প্রতারণার জালে আটকে ফেলল…
So, he made them (Adam & Eve) fall, through deception…
উপরের আয়াতে শয়তান প্রতারিত করেছিল আদম এবং হাওয়া উভয়কেই। অবাধ্য হবার কারণে শয়তানকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। আর শয়তান তা সহ্য করতে না পেরে আজও আমাদের পিছনে লেগে আছে পথভ্রষ্ট করার জন্য। আমাদের যেমন শয়তান থেকে বেচে থাকতে সর্বদা সতর্ক থাকতে হয়, ঠিক তেমনি, ভাল প্রতিষ্ঠানগুলো আসততার কারণে চাকুরিচ্যত হওয়া ব্যক্তিদের থেকে সর্বদা সতর্ক থাকে। কারণ, দুর্বলতা জানা ব্যক্তি যে কোন সময় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করতে পারে।