মেধা(Merit)
মানুষের শ্রম সাধারণত দুই প্রকার। শারীরিক শ্রম ও বুদ্ধিশ্রম। শারীরিক শ্রমের ক্ষেত্রে জনবল বেশি হলে কাজ দ্রুত হয়। এজন্য দেখা যায় শারীরিক কাজের মাধ্যমে উঁচু দালান বা সেতু দ্রুত নির্মানের জন্য জনবল বেশি নেয়া হয়। কিন্তু মেধাশ্রমের ক্ষেত্রে ঘটনাটি অনেকটা উলটো ঘটে। মেধার কাজে সাধারণত সব থেকে মেধাবীকে আলাদা করে ফেলা হয়। অন্যদের গুরুত্ব দেয়া হয়না। অনেক সময় দেখা যায়, সবথেকে মেধাবী ব্যক্তিকে প্রধান আসনে বসালে সে অন্যদের মতামতের কোন গুরুত্ব দেয়না। শুধুমাত্র নিজের মতকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। শুরু হয় একনায়কতন্ত্র যা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতি ডেকে আনে। একজনের মেধা দিয়ে যে উন্নতি সম্ভব তার থেকে সমন্বিত মেধার মাধ্যমে অনেক বেশি উন্নয়ন সম্ভব। এবং সেই উন্নয়নে ভুলের পরিমাণও কম হবে। সমন্বিত মেধার গুরুত্ব যে ব্যক্তি মেধার তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। আর এ বিষয়টি কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে (২০:২৯-৩২) আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে।
وَاجْعَلْ لِي وَزِيرًا مِنْ أَهْلِي (29) هَارُونَ أَخِي (30) اشْدُدْ بِهِ أَزْرِي (31) وَأَشْرِكْهُ فِي أَمْرِي (32)
অর্থঃ আমার আপনজনদের মধ্য থেকে (একজনকে) আমার সাহায্যকারী বানাও, হারুন হচ্ছে আমার ভাই (তাকেই বরং তুমি আমার সহযোগী বানিয়ে দাও), তার দ্বারা তুমি আমার শক্তি বৃদ্ধি করো, তাকে আমার কাজের অংশীদার বানিয়ে দাও।
Musa (A.S.) said, “And appoint for me a minister from my family. Haroon (A.S.) my brother. Increase through him my strength. And let him share my task”.
শারীরিক শ্রমে যেমন সহযোগী প্রয়োজন, ঠিক তেমনি, বুদ্ধিশ্রমেও স্বমন্বিত প্রচেষ্টাই সুফল বয়ে আনে। উপরের আয়াতে লক্ষ্য করবেন, ফেরাউনের কাছে আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়ার জন্য অর্থ্যাৎ বুদ্ধিভিত্তিক কাজে সফলতা পাবার জন্যে মুসা (আঃ) আল্লাহর সাহায্য চেয়েছিলেন। আর বর্তমান বাস্তবতায়ও ইসলামের পথে মানুষদের দাওয়াত দেয়ার জন্য গ্রুপ ভিত্তিকভাবে মুসল্লিরা বের হয়।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি ঐ আমলে সমন্বিত বুদ্ধিশ্রমের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।