এককত্ব (Singularity) এবং কৃষঙ্গহবর (Black holes)
ভরের কারণে সময় পরিবর্তন হতে পারে। ভর বেশী হলে সময় আস্তে চলে আর ভর কম হলে সময় দ্রুত চলে। একটি নক্ষত্রে যতই ভর বৃদ্ধি পায়, ততই এর ঘনত্বও বৃদ্ধি পায়। আর একটি নক্ষত্রের ঘনত্ব যত বৃদ্ধি পায়, নক্ষত্রটি তত বেশী সময় পরিবর্তন করতে পারে। একটি বড় নক্ষত্র যত বেশিদিন বাঁচে, নক্ষত্রটির ঘনত্ব তত বেশি বৃদ্ধি পায়। আর ঘনত্বও যত বৃদ্ধি পায়, নক্ষত্রটি তত সময় পরিবর্তন করতে পারে। সময় পরিবর্তনের এই সক্ষমতাকেই এককত্ব বা সিঙ্গুলারিটি বলে। সুতরাং, বলা যায় একটি নক্ষত্র যত বেশিদিন বাঁচে, নক্ষত্রটি তত বেশি সময়কে পরিবর্তন করতে পারে এককত্বের দিকে। সিঙ্গুলারিটি বা এককত্ব হল নক্ষত্রের ভবিষ্যতের এমন একটি অবস্থা, যেখানে মধ্যাকর্ষন শক্তি এত বেশি হ্য় যে, স্থান এবং সময়কে আলাদা করা যায়না। বিগ ব্যাঙ্গের বিস্ফোরনের আগে এই মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু একটি বিন্দুতে ঘনীভূত অবস্থায় ছিল। ঐ বিন্দুর ঘনত্ব এতই বেশি ছিল যে, সেখানে সময় এবং ভরকে আলাদা করা যেতনা। ঐখানে সময় ছিল শূন্য এবং ভর ছিল অসীম। এই অবস্থাকেই বলা হয় সিঙ্গুলারিটি বা এককত্ব।
এককত্ব হল নক্ষত্রের ভবিষ্যতের একটি অবস্থান। অনেক দূর থেকে কেউ যদি একটি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরকে পর্যবেক্ষন করে তাহলে ঐ ব্যক্তি দেখতে পাবে যে, ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরটির কাছের বস্তুগুলো অনেক আস্তে আস্তে নড়ছে। যেন মনে হবে, ব্ল্যাক হোলের কাছে সময় অনেক আস্তে পরিবর্তিত হচ্ছে। ব্ল্যাক হোলের কাছে যদি কেউ আলো জ্বালায়, তাহলে সেই আলো দূরে থাকা কোন পর্যবেক্ষকের চোখে পৌছাতে পারবেনা। ব্ল্যাক হোলের মহাকর্ষীয় বল এত বেশি যে তা আলোকেও টেনে নিজের ভেতর ঢুকিয়ে ফেলে।
সিঙ্গুলারিটি বা এককত্ব হল নক্ষত্রের ভবিষ্যতের এমন একটি অবস্থা, যেখানে মধ্যাকর্ষন শক্তি এত বেশি হ্য় যে, স্থান এবং সময়কে আলাদা করা যায়না। আপেক্ষিকতার তত্ত্ব থেকে আমরা বলতে পারি, সিঙ্গুলারিটি হল এমন একটি গন্তব্য যেখানে মহাকাশের সময় স্থির বা সিঙ্গুলার হয়ে যায়। আর একেই সিঙ্গুলারিটি বা এককত্ব বলে। আল্লাহর অনেকগুলো নামের মধ্যে একটি হল ‘আহাদ’। ‘আহাদ’ শব্দের অর্থ হল এক। আর আল্লাহই এককত্বের একচ্ছত্র মালিক। কোরআনে এই বিষয়ে (৫৬:৭৫-৭৭) উল্লেখ করা হয়েছে।
٧٥ فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ٧٦ وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ٧٧ إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ
অর্থঃ অতপর আমি শপথ করছি তারকাগুলোর অস্তাচলের, সত্যি (আমার গোটা সৃষ্টি নৈপুণ্যের আলোকে) তা হচ্ছে এক মহা শপথ, যদি তোমরা জানতে। অবশ্যই কোরআন এক মহামর্যাদাবান গ্রন্থ।
I swear by the locations of stars, it is a great swear if you knew, it is a noble Quran…
উপরের আয়াতে আল্লাহ নক্ষত্রকে নিয়ে শপথ করেননি বরং নক্ষত্রের ভবিষ্যৎ অবস্থান বা অস্তাচল বা এককত্ব বা সিঙ্গুলারিটির শপথ করেছেন।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন সিঙ্গুলারিটি সম্পর্কে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।