সূরা ‘সাজদাহ’ এর অলৌকিকত্বঃ
সুরা ‘সাজদাহ’ কোরআনের ৩২ তম তুরা এবং এই সূরায় মোট ৩০ টি আয়াত আছে। এদের বিয়োগফল, ৩২-৩০ = ২ এবং এই ২ সংখ্যার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন অলৌকিকত্ব খুঁজে পাব, ইনশাআল্লাহ। কোরআনের বিভিন্ন স্থানে ‘সাজদার’ আয়াত আছে। এই আয়াতগুলো পড়লে সিজদাহ দিতে হয়। এমনই একটি আয়াত হল এই সুরার (৩২:১৫) নং আয়াতটি।
إِنَّمَا يُؤْمِنُ بِآَيَاتِنَا الَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُوا بِهَا خَرُّوا سُجَّدًا وَسَبَّحُوا بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُونَ (15)
- অবাক হবার বিষয় হল উপরের এই আয়াতে ১৫ টি শব্দ আছে। আবার এই আয়াতটিও ১৫ তম আয়াত। আর এই ১৫X২= ৩০ এবং ৩০ যা হল এই সুরার মোট আয়াত সংখ্যা। আর সম্পুর্ন কোরআনেও সিজদার আয়াত আছে মোট ১৫ টি।
- এই সূরার শুরু থেকে গুণে গুণে (৩২:১৫) আয়াতের ‘সুজ্জাদান’ শব্দ পর্যন্ত আসলে আমরা দেখব, ‘সুজ্জাদান’ শব্দটি এই সুরার ১৮৬ তম শব্দ। এবার আগের মত ১৮৬ কে ২ দ্বারা দুন করে পাই, ১৮৬X২= ৩৭২। আবার অবাক হবেন। ৩৭২ হল এই সুরার মোট শব্দ সংখ্যা।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন গনিতবিদ ছিলেন, যিনি ওহী বর্ননার সময় এত সতর্ক ছিলেন যে, সম্পুর্ন সুরা ‘সাজদায়’ এর মধ্যে দুই এবং ১৫ এর অপুর্ব গানিতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, অথচ ইতিহাস বলে তিনি পড়তেও জানতেন না এবং লিখতেও জানতেন না? যেখানে একজন শিক্ষিত মানুষের পক্ষেই এরকম সূরা তৈরী সম্ভব নয় সেখানে আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে রাসুল (সঃ) কিভাবে এই কোরআনের সূরা রচনা করবেন অথচ তিনি লিখতেও জানতেন না এবং পড়তেও জানতেন না? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।