সূরা কাউসারের অলৌকিকত্বঃ

Kawsar

সূরা কাউসারের অলৌকিকত্বঃ

সূরা কাউসার কোরআনের ১০৮ তম সূরা এবং এটি কোরআনের সবচেয়ে ছোট সূরা।

  1. সূরা কাউসারে মোট দশটি শব্দ আছে।
  2. সূরা কাউসারের প্রথম আয়াতে মোট দশটি ভিন্ন ভিন্ন অক্ষর আছে (ইংরেজী ball শব্দে অক্ষর আছে মোট চারটি. b, a, l, l কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন অক্ষর আছে তিনটি. b, a, l)। অনুরুপভাবে দ্বিতীয় আয়াতেও মোট দশটি ভিন্ন ভিন্ন অক্ষর আছে এবং তৃতীয় আয়াতেও মোট দশটি অক্ষর আছে।
  3. সম্পুর্ণ সূরায় ‘আলিফ’ অক্ষরটি এসেছে মোট দশবার
  4. সম্পুর্ন সূরায় যে অক্ষরগুলো শুধুমাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে, এরকম মোট দশটি অক্ষর আছে। যেমন- ball শব্দে অক্ষর আছে মোট চারটি. b, a, l, l কিন্তু শুধুমাত্র একবার যে অক্ষরগুলো ব্যবহৃত হয়েছে, তেমন আছে তিনটি অক্ষর. b, a, l কারণ l ব্যবহৃত হয়েছে দুটি)।
  5. এই সুরার প্রতিটি আয়াত বা বাক্য শেষ হয়েছে ‘রা’ দিয়ে। আর ‘রা’ হল আরবি হরফগুলোর মধ্যে দশম অক্ষর।
  6. কোরআনে মোট ১১৪ টি সুরা আছে। এর মধ্যে মোট দশটি সূরা ‘রা’ অক্ষর দিয়ে শেষ হয়েছে।
  7. এই সুরা শুরু হয়েছে ‘ইন্না’ শব্দ দিয়ে। এবার কোরআনের ১১৪ টি সুরার একদম প্রথমে যদি ‘ইন্না’ শব্দটি খুঁজেন, তাহলে দেখবেন মোট দশটি সূরা ‘ইন্না’ শব্দটি দিয়ে শুরু হয়েছে।
  8. এবার চলুন এই সূরায় শুধুমাত্র ‘রা’ অক্ষরগুলোর দিকে লক্ষ্য করি। ১৬ তম অক্ষরটি রা, ২১ তম অক্ষরটিও ‘রা’, ২৮ তম অক্ষরটিও ‘রা’ এবং ৪৩ তম অক্ষরটিও ‘রা’। এদের যোগফল, ১৬+২১+২৮+৪৩ = ১০৮ আর ১০৮ তম সূরাই হল সূরা কাউসার।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন গনিতবিদ ছিলেন, যিনি ওহী বর্ননার সময় কোথায় এত সতর্ক ছিলেন যে,  সূরা কাউসারে দশ এর গানিতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, অথচ ইতিহাস বলে তিনি পড়তেও জানতেন না এবং লিখতেও জানতেন না? যেখানে একজন শিক্ষিত মানুষের পক্ষেই এরকম সূরা তৈরী সম্ভব নয় সেখানে আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে রাসুল (সঃ) কিভাবে এই কোরআন রচনা করবেন অথচ তিনি লিখতেও জানতেন না এবং পড়তেও জানতেন না? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *