সূরা আল ফাতিহার অলৌকিকত্বঃ

Surah Al Fatiha

সূরা আল ফাতিহার অলৌকিকত্বঃ

সূরা ফাতিহায় ৭ টি আয়াত, ২৯ টি শব্দ । এর প্রথম আয়াতে আছে ১৯ টি অক্ষর। আর ১৯ সংখ্যার মাধ্যমেও কোরআনের বিভিন্ন স্থানে গানিতিক অলৌকিকত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে এই লেখায় আমরা ৭ সংখ্যাটির অলৌকিকত্ব খুঁজব সূরা আল ফাতিহার মাধ্যমে। কোরআনের (১৫:৮৭) নং আয়াতে, ৭ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা সুরা আল ফাতিহাকেই ইংগিত করে। আয়াতটি নিন্মরুপঃ

“অবশ্যই আমি তোমাকে সাত আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা দিয়েছি যা বার বার পঠিত হয়-আরও দিয়েছি মহান গ্রন্থ কোরআন।”

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (1)

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (2) الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (3) مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ (4) إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (5) اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (6) صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ (7)

  1. এই সুরাতেও রিং কাঠামো বিদ্যমান। এই সুরায় আছে মোট ৭ টি আয়াত। প্রথম তিনটি আয়াতে আল্লাহর কথা বলা হয়েছে। চতুর্থ বা মাঝখানের আয়াতে পরকালের কথা বলা হয়েছে। আর শেষের তিনটি আয়াতে আল্লাহর কাছে মানুষের চাওয়া বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
  2. এই সুরাটির আয়াতগুলো হয় ‘মিম’ অথবা ‘নুন’ অক্ষর দিয়ে শেষ হয়েছে। আরবী অক্ষরগুলোর মধ্যে ‘মিম’ এর অবস্থান হল ২৪ তম এবং ‘নুন’ এর অবস্থান হল ২৫ তম। এদের যোগফল (২৪+২৫) = ৪৯ যা ৭ এর বর্গ। আর এই সুরায় ৭ টি আয়াত আছে
  3. কোরআনের (১৫:৮৭) নং আয়াতে আল্লাহ ৭ আয়াত বিশিষ্ট সুরা ফাতিহার কথা উল্লেখ করেছেন। এই আয়াতেও সাতটি শব্দ রয়েছে।
  4. (১৫:৮৭) নং আয়াতটির দিকে আবার লক্ষ্য করি। এর মাঝখানের শব্দটি হল مِنَ এবং এতে দুইটি অক্ষর আছে। একটি হল ‘মিম’ আর অন্যটি হল ‘নুন’।

وَلَقَدْ آَتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآَنَ الْعَظِيمَ (87)

উপড়ের আয়াতে ‘মিম’ অক্ষরটির তিনবার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। অবাক হবার বিষয়   হল সুরা আল ফাতিহার সাতটি আয়াতের মধ্যেও তিনটি আয়াত ‘মিম’ দিয়ে শেষ হয়েছে। শুধু তাই নয়, উপড়ের আয়াতে ‘নুন’ অক্ষরটির চারবার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। অবাক হবার বিষয় হল সুরা আল ফাতিহার সাতটি আয়াতের মধ্যেও চারটি আয়াত ‘নুন’ দিয়ে শেষ হয়েছে। যেন (১৫:৮৭) নং আয়াত আয়াতেই সম্পুর্ন সুরা আল ফাতিহার গঠন ও কাঠামো কোডিং আকারে লুকানো আছে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন গনিতবিদ ছিলেন, যিনি ওহী বর্ননার সময় এত সতর্ক ছিলেন যে,  সূরা আল ফাতিহার মধ্যে ৭ এর গানিতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, অথচ ইতিহাস বলে তিনি পড়তেও জানতেন না এবং লিখতেও জানতেন না? যেখানে একজন শিক্ষিত মানুষের পক্ষেই এরকম সূরা তৈরী সম্ভব নয় সেখানে আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে রাসুল (সঃ) কিভাবে এই কোরআনের সূরা রচনা করবেন অথচ তিনি লিখতেও জানতেন না এবং পড়তেও জানতেন না? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *