সুরা ইয়াসিন (Surah Ya Sin 36, ayat 40)

sura ya sin

সুরা ইয়াসিন (Surah Ya Sin 36, ayat 40)

সুরা ইয়াসিন এর ৪০ নম্বর আয়াতে একটি বৈজ্ঞানিক অলৌকিকত্ব আছে। রাসুল (সঃ) এর আমলে গ্রহ নক্ষত্র এর কক্ষপথ সম্পর্কে মানুষের ধারণা স্পষ্ট ছিলনা। বরং, তারা চাঁদ ও সুর্যের পুজা করত। আসুন (৩৬:৪০) নং আয়াতটির দিকে লক্ষ্য করি।

لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ (40)

অর্থঃ সুর্যের এ ক্ষমতা নেই যে সে চাঁদকে নাগালের মাঝে পাবে-না রাত দিনকে ডিঙিয়ে আগে চলে যেতে পারবে; (মুলত চাঁদ সুরুজ সহ) এরা প্রত্যেকেই শুন্যলোকে সাতার কেটে চলেছে।

উপরের আয়াতের  كُلٌّ فِي فَلَكٍ এই অংশেই লুকিয়ে আছে বৈজ্ঞানিক অলৌকিকত্ব। আমরা জানি, পৃথিবী সুর্যকে উপবৃত্তাকার পথে প্রদক্ষিণ করেছ। আবার চাদও পৃথিবীকে উপবৃত্তাকার পথে প্রদক্ষিণ করেছ। সুর্যের নিজেরও একটি কক্ষপথ আছে।

كُلٌّ فِي فَلَكٍ

-3 -2 -1 0 1 2 3
ك ل ف ي ف ل ك
1 2 3 4 5 6 7

উপরের ছকে,

1 = ك = ك = 7

2 = ل = ل = 6

3 = ف = ف = 5

4 = ي = মধ্যবর্তী স্থান

যে যুগে কন্যা সন্তানকে জীবিত মাটিতে পুতে ফেলা হত এবং যে যুগে মহাকাশ গবেষণার কোন যন্ত্রই আবিষ্কৃত হয়নি, সে যুগে কোরআনের كُلٌّ فِي فَلَكٍ তে লুকানো ছিল মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্রের কক্ষপথের রহস্য।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন মহাকাশ বিজ্ঞানী ছিলেন, যিনি ওহী বর্ননার সময় palindrome নামক ভাষাগত সৌন্দর্যের কথা এবং মহাকাশের রহস্য মাথায় রেখে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন, অথচ ইতিহাস বলে তিনি পড়তেও জানতেন না এবং লিখতেও জানতেন না? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *