সুরা আস-সাফ ৬১, আয়াত ৫-৬ (Surah as-Saff, ayat 5-6)

Sura as saff

সুরা আস-সাফ ৬১, আয়াত ৫-৬ (Surah as-Saff, ayat 5-6)

কোরআন যে একদম নির্ভুল তার আর একটি প্রমাণ পাওয়া যায় সুরা আস-সাফফাতের ৫-৬ নম্বর আয়াতে। আমরা জানি, মুসা (আঃ) প্রেরিত হয়েছিলেন ইসরাঈল জাতির প্রতি। অর্থ্যাৎ, মুসা (আঃ) এর শ্রোতা ছিলেন ইসরাঈল জাতির লোকেরা। আবার, ঈসা (আঃ) এর শ্রোতারাও ছিলেন ইজরাইল জাতির লোকেরা।

সুরা আস সাফের (৬১:০৫) নং আয়াতটি নিন্মরুপ,

وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ لِمَ تُؤْذُونَنِي وَقَدْ تَعْلَمُونَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ فَلَمَّا زَاغُوا أَزَاغَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ (5)

অর্থঃ যখন মুসা নিজের জাতিকে বলেছিল, হে আমার জাতি, তোমরা কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছ, অথচ তোমরা এ কথা জান, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো একজন রসুল…

وَإِذْ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِنْ بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا هَذَا سِحْرٌ مُبِينٌ (6)

অর্থঃ যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা তাদের বলল, হে বনী ইসরাঈলের লোকেরা, আমি তোমাদের কাছে পাঠানো আল্লাহর এক রসুল…

উপরের দুটি আয়াত লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, মুসা নবী বলেছেন,”হে আমার জাতি”। কিন্তু ঈসা নবী বলেছেন,” হে বনী ইসরাঈলের লোকেরা ”। মুসলিম বিশ্বে মানুষের পরিচয় হয় পিতার পরিচয়ে। মাতার পরিচয়ে নয়। মুসা (আঃ) এর পিতা ছিলেন ইসরাঈলের অধিবাসী কিন্তু আমরা জানি ঈসা (আঃ) কোন পিতা ছাড়াই পবিত্র নারী মারইয়ামের গর্ভে জন্মেছিলেন। আর এজন্যই মুসা নবী ”হে আমার জাতি” বললেও ঈসা নবী কিন্তু ”হে আমার জাতি” বলেননি। বরং, তিনি বলেছেন, ” হে বনী ইসরাঈলের লোকেরা ”, কারণ, তার কোন পিতা ছিলনা।  আর এ জন্যই তিনি  ”হে আমার জাতি” বলেননি। কোরআন সম্পুর্ন সঠিক।

সাধারণ কোন ব্যক্তি যদি নকল করে কোরআন রচনা করত তাহলে দুই নবীর ক্ষেত্রেই হয়ত ”হে আমার জাতি” ব্যবহার করত। কিন্তু, কোরআন আল্লাহর বানী। এটি মানব রচিত নয়। আর এজন্যই কোরআন একদম নির্ভুল।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন ঐতিহাসিক ছিলেন, যিনি ওহী বর্ননার সময় এতই সতর্ক ছিলেন যে, মুসা নবী এবং ঈসা নবীর পিতার ইতিহাসও নির্ভুল্ভাবে কোরআনে উল্লিখিত হয়েছে এবং কোন ভাষাগত ভুল হয়নি? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *