সাগরের বাতাস (Sea Breeze)
সুর্যের কারনে সাগর থেকে বয়ে আসা বাতাস প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়। সাগর থেকে বয়ে আসা বাতাসে প্রচুর জলীয় বাস্প থাকে। তাপমাত্রা পরিবর্তিত হলে বাতাস প্রবাহের দিকও পরিবর্তিত হয়ে যায়। দিনের বেলা সাগর থেকে বাতাস ভুমিতে প্রবেশ করে। কিন্তু রাত হবার সাথে সাথে তাপমাত্রা পরিবর্তিত হয়। ফলে বাতাসের দিক পরিবর্তিত হয় এবং তখন ভুমি থেকে বাতাস সাগরের দিকে আসে। কোরআনে এ বিষয়টি (৮১:১৮) পরোক্ষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
١٨ وَالصُّبْحِ إِذَا تَنَفَّسَ
অর্থঃ (শপথ) সকাল বেলার যখন তা (দিনের আলোয়) নিঃশ্বাস নেয়।
And by the morning as it breathes.
উপরের আয়াতে ‘সুবহি’ অর্থ হল দিনের আলো। আমরা একবার শ্বাস নেই আবার পরক্ষনেই শ্বাস ছেড়ে দেই। শ্বাস নেয়া এবং ছেড়ে দেয়ার সময় বাতাসের প্রবাহ বিপরীত্মুখী হয়। শ্বাস নিলে বাতাস শরীরের ভেতরে দেখে আর শ্বাস ছেড়ে দিলে বাতাস শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। সাগরের বাতাস প্রবাহের দিকও একইভাবে পরিবর্তিত হয়। দিনের বেলা সাগর থেকে বাতাস ভুমিতে প্রবেশ করে আর রাতের বেলা ভুমি থেকে বাতাস সাগরে ফিরে আসে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে জানলেন সাগরের বাতাস দিনের বেলা একদিকে আর রাতের বেলা তার বিপরীত দিকে যায়? তিনি কেনই বা নিশ্বাসের সাথে এর তুলনা করলেন?তিনি কি এ বিষয় নিয়ে গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।